পরিণতি
অদিতিকে দেখলে মনে পড়ে যায় ওর অতীত জীবনের কথা। কনভেন্টে পড়া মেধাবী মেয়ে। বাবা দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের ডেপুটি ম্যানেজার অয়ন চৌধুরী , মা সাবিত্রী অনেক আগেই গত হয়েছেন। বিশাল বড় বাংলোয় থাকে, একদিকে সার্ভেন্ট কোয়াটার।
সুন্দরী এবং ভীষণ অহংকারী , কাউকে তেমন পাত্তা দিত না। শাড়ি সালোয়ার কামিজ,জিন্স – সব পোশাকেই লাগতো উজ্জ্বল । টুয়েলভ পাশ করবার পর গাড়ি চালানো শেখার ইচ্ছা হওয়ায় বাবা ড্রাইভার বিশ্বজিৎকে নির্দেশ দেয় গাড়ি চালানো শেখাতে। গাড়ি চালানো শিখতে শিখতেই ড্রাইভারের প্রেমে পড়ে এবং বাবার অমত থাকায় পালিয়ে বিয়ে করে।
দোর্দন্ডপ্রতাপ চৌধুরী সাহেব ভীষণ অপমানিত বোধ করেন এবং তড়িঘড়ি চাকরি ছেড়ে, বিষয় সম্পত্তি দান-বিক্রি করে, মেয়েকে ত্যাজ্যপুত্রী করে বিদেশে চলে যান।
সেই থেকে মেয়ের একেবারে রাজার হাল থেকে দৈন্যদশায় জীবন যাপন, যদিও স্বামী বিশ্বজিৎ-এর সাথে সে সুখেই রেখেছে।