ভীষণ অরাজকতা সমাজ সভ্যতায়
এমনকি সাহিত্য অঙ্গনে,
সাহিত্যিক, মহাপুরুষ, কালজয়ী শিল্পী
আজ প্রহসিত সমাজ প্রাঙ্গনে।
ক্ষুদিরাম, নেতাজীর ছবি পদ পাশে রেখে
নেতাদের বুলি সাধা,
অমর কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের
ছবির গলে দড়ি দিয়ে মন্ডপে বাঁশ বাঁধা।
বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুলের বিখ্যাত গান
“কারার ঐ লৌহ কপাট”,
বিকৃত করে সুর, করেছে যথেচ্ছাচার
হয়েছে আসল কবি নামটাও লোপাট।
রবীন্দ্র সঙ্গীত তো কতজনই করছে
বিরূপ বিকৃত সুরে!
বিজ্ঞাপনের গাড়িতেও বিরূপ সুরেতে
বাজে কবি গান দেখা যায়,
গাড়ি পথে পথে ঘুরে।
বিদ্যাসাগরের মূর্তি দেখেছি ভেঙেছে
কলেজের অন্দর মাঝে,
নিতি নিতি এমন ঘটেই চলেছে
নেই প্রতিবাদ সমাজে।
হয়েছে সময় আর দেরি নয়
প্রতিবাদে হও সোচ্চার,
এভাবে চললে রসাতলে যাবে
সভ্যতা সংস্কৃতি বাংলার।
লেখনী হোক আগ্নেয়গিরি সম
করো প্রতিবাদ কলম দিয়ে,
মসী করে অসি হয়ে দুর্বার
ঘুচাও ছেলেখেলা সাহিত্য নিয়ে।