বিশ্বাস এখন খুঁজতে হয় তৈলচিত্রে,ইতিহাসের পাতায় ,
হৃদয়ের আঙ্গিনায় এখন অবিশ্বাসের দীর্ঘশ্বাস খেলা করে ।
রাতের ঘুমগুলো দমবন্ধ , মিথ্যাস্বপ্নের –
বৈবাহিক চুক্তি এতই ঠুনকো যে প্রতিনিয়ত- ভাঙছে আর ভাঙছে ,
জ্যোৎ্স্নার স্তন দুধহীন, প্রেম বিরহী,
চাঁদের কলঙ্ক অসহনীয় থরে থরে , ভারে ভারে ।
সুখী গৃহকোন ক্রমশ মলিনতায় কাঁদে ,
আস্তাহীন সমাজে অন্তহীন চাহিদা আর পরস্পরের দোষারোপ ।
এখন সমাজের পাওনা মেটাতে আমি হিমসিম, খেসারত –
দিতে দিতেই পৌঁছাই শ্মশানের চিতায়।
সন্দেহের্ পুষ্টি ধারণ করেছে শরীর –
ক্ষোভ ,অখুশি ,অসন্তুষ্ট ,বাসা বেঁধেছে দেহ মন্দিরে ।
প্রতিটি প্রভাতে হাঁড়িকাঠে ঝোলে বিশ্বাসের প্রেম, প্রীতি , লোভেরা জল্লাদের বেশে ,
একবিংশ শতাব্দীর বাবার হাতে ধর্ষিত মেয়ে,
কন্যাসম ছাত্রীর শ্লীলতাহানী করে শিক্ষক ,
কলির কল্কে মুখে নীরব অত্যাচারের মহড়া।
জন্মদাতা চোখের জলে ভাসে রাজপথ –
সন্তানের হাতে নিগৃহীতা মা, সম্পদের লোভ গিলেছে ভালোবাসা, বিশ্বাস।
আমি আরশিতে দেখি –
নেশা ছড়িয়ে দিশা দেখায় অপাংতেয় ভবিষ্যত ,
বিবেক বেঁচে খায় মনুষ্যত্বহীন দুপেয়ে প্রানী ।
গভীর রাতে মধুচক্রের উৎসব , নীলআলোয় লেংড়ে লেংড়ে চলে শতাব্দী ।
দাগা এখন তাগার মতো হাতে ঝুলছে ,
মিথ্যাগুলো সত্যি হয়ে মাদুলির মতো অন্ধ বিশ্বাসের পরিণয় গোধূলি ।
ক্ষমতার কাছে নতমস্তকে মানবতা , শঠতা- আত্মপ্রবঞ্চনা সুর্যের আলোর মতোই স্পষ্ট ।
মাঝে মাঝে বিস্ময়ে থমকে দাড়াই ,
হাসি পায় দেবতার করুন মুখের ছবি ভেবে ,
আপন সৃষ্টির কাছে পদানত , ভঙ্গুর , ক্ষমতাহীন ,
আর আমি যে বেঁচে আছি –
সেটাই পরম আশ্চর্যের …..।