পৃথিবীটা আজ বড় অশান্ত,
বিভীষিকার ধুলি-কাদায় ক্লান্ত ।
উঠেছে অশান্ত ঝড়,
ভেঙ্গেছে কত শত সুখের ঘর ।
এসো গাই সাম্যের গান ,
মানবতার হোক উত্থান ,
সমস্থ নিস্পাপ শিশু হাসুক ,
ধরনী ফুলে ফলে শান্তিতে ভাসুক।
জেগে উঠুক নব যৌবন ,
শেষ হোক হিংসার প্লাবন।
বিকশিত হোক্ সুপ্ত প্রতিভা –
ভুবন ভরাক শান্তির কবিতা ।
ছোট ছোট আশা জাগুক আবার-
দীর্ণ কুঠিরে, প্রদীপ জ্বলুক সবার,
মাছি না পরে কারু ভাতে।
এস তার জন্যে কাজ করি দিনে রাতে।
মায়ের কোলে ঘুমাক শিশু নীরবে,নিশ্চিন্তে।
পৃথিবী ভুলুক শোক –
দূর হোক যত রোগ-ভোগ ,
অজ্ঞানতা দুরকরি ,আহা বলিহারি –
এখনও জাতের নামে কি করে বজ্জাতি করি ?
ভেবেছো কি শুধুই দুদিনের জীবন –
বৃথাই কেটে যাবে এ সুখের বেলা ?
চল না মোছাই অসহায়ের যত রোদন-
ভাই বলে বুকে ধরি, যারা সোয়েছে অবহেলা ।
যত লাঙ্গল আর কাস্তে –
জং ধরে পড়ে আছে ঘরের কোনে ,
এস ,বাদাবন পরিস্কার করি ,কাস্তে হাতে-
চষি ক্ষেত, স্বপ্ন দেখি জীবনের গানে।
ওই দেখো মুক্তির সূর্য দিয়েছে উকি,
বসন্তের কোকিল এনেছে নতুন ভোর,
দোর খোল, মুখ তোল , নিতে হবে ঝুকি-
আগামি সকালে হাটবে শিশু, চাইবে বাহুডোর ।