তুমি দেখতে পাওনা বুঝি
কিভাবে শুকিয়ে যাচ্ছি পল পল
ধূলোয় ধূলোয় ঢেকে যাচ্ছে আমার একতারা সুর
স্বপ্নে আমার জাল বেঁধেছে বিষাক্ত হলুদ মাকড়সা
তুমি বুঝতে পারোনা?
কত রক্তে ভেসে যাচ্ছে আমার আকাশ
ডুবে যাচ্ছে সব আলো
শুনতে পাওনা?
যুগের পর যুগ জমিয়ে
বসে আছি ধূসর চাতকের মতো
হাতে আমার বরণ ডালা
বরণ ডালায় পূজোর মালা তোমার জন্য
তুমি কি এখনো চুপ করে থাকবে প্রিয়
দেখ দেখ ভালো করে চোখ মেলে দেখ
অবসাদে ঝুঁকে পড়েছে সব বয়সের গাছ
আত্মহত্যা করছে তোমার প্রিয় ফুলেরা
পথ হারিয়ে ভুল আঁকছে শুধু
এখনো ধ্যান মগ্ন থাকবে?
নৌকা বইতে পারছিনা আর
মনের মধ্যে বাসা করেছে
মহামারি
রক্তে বইছে শূন্যতা
কথা নিভে আসছে প্রভূ
তুমি কি এই মালা পরবেনা
চোখের জল পড়ে
মূর্তির সব পাথর মারা গেলে
জন্ম নিল অনির্বান আলোর দেহ
আমার চেতনার উপর আছড়ে পড়ল
সুরে তালে ঝলমল করে উঠল গীতাঞ্জলী
আমি মালা টা গলায় পড়িয়ে দিলাম
একটা বর চাইব ঠাকুর?
ঠাণ্ডা বাতাস বইতে লাগল…
বললাম –
নিত্যদিন যেন তোমায় নতুন করে জন্ম দিই
আমার কবিতায়
আমার শ্রদ্ধায়
আমার নিশ্বাসে