তোমার দুচোখে হেরিয়া আকাশ
বাদলের ঘনঘটা,
বিন্দির মাঝে “ভানু”র উপরে
জীবনের স্রোতে ভাঁটা।
কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে
নাজেহাল কেশরাশি,
বুকেতে তুমুল বজ্রধ্বনি
তোলে তোমার ওই হাসি।
মাটির বুকের দামাল হরিণী
কৃষ্ণবর্ণ অঙ্গে,
মুখরিত হয়,ওঠে কলতান
আমার এ মন বিহঙ্গে…
পাথুরিয়া সুর তোমাতে নাচিয়া
হয় মায়া প্রবাহিনী,
রুক্ষ কঠিন প্রাণে বাজে সুর,
পায়ে হয় কিঙ্কিনী…
লবণাসিক্ত স্বেদ ছাওয়া দেহে
আগুনের দৃপ্ততা,
কাঠের বোঝা স্কন্ধে তোমার
নেই কোনো ক্ষীপ্রতা।
জ্যোৎস্নার মায়া পরতে পরতে
মন মহুয়ায় খেলে,
সেই কলকল সুর প্রতিধ্বনি
ওষ্ঠে তোমার জ্বলে
ছিন্ন শাড়িতে স্বর্ণের দ্যুতি
হৃদয় করেছে স্নাত,
কালবৈশাখী দামামা বাজায়
জেগে ওঠে মন্মথ।
তুচ্ছ এ প্রাণ তোমার ওই স্রোতে
ভাসে খড়কুটো হয়ে,
জীবনের নদী নতুন বাঁকেতে
ঢেউ তুলে চলে বয়ে।
আগুনেতে আজি হয়েছি ভস্ম
ওগো কৃষ্ণকলি,
তুচ্ছ করেছি পার্থিব বেড়ি
হাতে গোলাপের ডালি…