কিছু কিছু কথা এমনই থাকে, থেকেই যায়, বলা হয় না কখনও….।
বলতে গেলে বুকের পাঁজর ভাঙে অথচ শব্দ হয় না কখনও।
কিছু কিছু শব্দ এমনই পড়ে থাকে মনের গহীনে, পড়েই থাকে নরম নদীর বুকে, কেবল ধ্বনি থেকে প্রতিধ্বনি তোলে…,
প্রতিবাদী লেখা হয়ে ওঠে না কখনও।
কিছু কিছু ব্যথা বুকের ধুকপুকে তানপুরার
তারের মতো বাজতেই থাকে..।
একটা তারে টান পড়লেই আর একটা ব্যথা কেঁপে ওঠে বাজতে থাকে সারাদিনের ব্যস্ততায়,
নানান কাজের ফাঁকে, দিনে রাতে!
তবুও তুমি সেই উদাসীনই হয়ে রয়ে গেলে….,
এমন করেই কতো জন্মদিন এলো গেলো, তুমি কাছে আসলে না। গল্প গুলো ফুল হয়ে ফুটলো না। কিছু কিছু কথা রয়েই গেল দেওয়ালের কোনে মাকড়সার ঝুলে।
এতো কিছুর পর আমি কখনও তোমার কাছে আসি নি। শব্দহীন হয়ে কবিতার কাছে ছুটে এসেছি।
কিছু কিছু কথা শব্দ হয়ে মালা গাঁথে।যে কথা বলতে চেয়েও বলা হয় নি, সেই কথাই শব্দ হয়ে ডিম ফুটে বেরিয়ে আসে।
বিশ্বাস করো,আমি রোজ একবুক কষ্ট নিয়ে যন্ত্রণা নিয়ে কবিতার কাছে ছুটে গেছি।
কবিতার নিবিড় আশ্রয়ে কেঁপে উঠেছে আমার ওষ্ঠ..কবিতা আমায় সকল আঘাত সহ্য করার
শিখিয়েছে সহনশীলতা,
তবু আমি তোমাদের মতো করে কবিতার বুকে কিছু শব্দ ছুঁড়ে দিয়ে কাউকে ব্যথা দিতে,
আঘাত দিতে পারি নি,পারি নি মনের জ্বালা হিংসা দ্বন্দ্ব মেটাতে।
আসলে কবিতা আমার ভালোবাসা আমার প্রেম আমার এই যে আজ যতটুকু অস্তিত্ব তার ভরকেন্দ্র..
আমি ভালোবাসার জন্য ভালোবাসি না। ভালোবাসা আমায় জাগায়,খবর নেয় ভালোবাসে!
আসলে তোমরা কোনদিনই কবিতাকে কবিতার মতো করে ভালোবাসতে পারো নি।
কবিতার বুকে কেবল কাঁদা ছুঁড়ে বলেছো,
আহা কী দারুণ প্রতিবাদ করেছি।
আমার তখন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের উজ্জ্বল দ্বীপ্ত চোখের কনীনিকায় দুটি তারার কথা মনে পড়ে!
আমার অব্যক্ত কথা তাই কথা হয়েই রয়ে গেছে… কবিতাকেও বলা হয় নি,ভেবে যদি কবিতার বুক ভাসে নোনতা সমুদ্রের জলে!
আসলে কবিতা জানে, যত তুমি বড় হবে,
এই চলার পথে ডোবা,পুকুর নদী পেরিয়ে
সমুদ্রের নোনা জলের মতো,
তোমার কান্না ততই গভীর আর নোনতা হবে!