ওই যে পাখিটা !
যার চোখে ভেসে বেড়াতো স্বপ্ন,
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন।
বন্দি ছিল সে,
খাঁচার মধ্যে বন্দি থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছিল,
ছটফট করতো মুক্তির জন্য।
দূর থেকে আকাশ দেখেছে ও,
কাছে যেতে পারেনি কখনো, কখনো আপন ডানায় ভর করে আকাশের বুকে ভেসে বেড়াতে পারেনি।
স্বপ্ন দেখতো ও,
রোজ রোজ স্বপ্নের জাল বুনতো নয়ন জুড়ে;
হয়তো একদিন ও ঠিক মুক্ত হতে পারবে এই বন্দি জীবন থেকে!
হয়তো একদিন ওর স্বপ্নগুলো একটা একটা করে ধরা দেবে ওর কাছে!
হয়তো একদিন ঠিক ছুঁয়ে দেখতে পারবে আকাশটাকে!
হয়তো একদিন মেঘেদের মতোই মেঘেদের সাথে উড়ে বেড়াবে আকাশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত!
হয়তো একদিন…..!
আজ সেই পাখিটার মৃত্যু হয়েছে।
হ্যাঁ সেই পাখিটা আজ মৃত।
সকলের কাছে মৃত।
খাঁচার মধ্যে ছটফট করতে করতে শূন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে ওর মৃত্যু ঘটেছে।
ওই খোলা চোখে আর ভেসে বেড়াবে না কোনো স্বপ্ন।
আর থাকবে না বন্দি জীবন থেকে মুক্তির আকুতি।
আর থাকবে না পথ চাওয়া।
আজ ও মৃত।
সত্যিকারের মৃত্যু ঘটেছে আজ ওর।
মুক্তির স্বাদ প্রাণ ভরে উপভোগ করতে আজ ও
অনেকটা উপরে, আকাশের অনেক উপরে চলে গেছে।
সেই পাখিটা আজ মৃত।