যন্ত্রের যুগে আমরা আজ হয়েছি
যান্ত্রিক মানুষ।
ভুলে গেছি প্র-পিতামহের সেই নোঙরা ফ্যাশান,
হয়েছে আধুনিক।
হয়েছি কোন নবসভ্যতার এক প্রতিমূর্ত্তি !
বড় আধুনিক হয়েও শিউরে উঠে হঠাৎ,
চেয়ে দেখি-
আজ মোরা দাঁড়িয়ে আছি
ধর্ষিতা পৃথিবীর জারজ মানবতাকে
বুকে নিয়ে ।
ডেভিলের কুচক্রে জর্জরিত হয়ে
ধুঁকে মরছি ইম্পের দেওয়া
অ্যালকোহলের রঙিন নেশায় জড়িয়ে।
ডাস্টবিনের ধারে নাম না জানা
ফুলগুলো দিয়ে যে মালা হয়েছিল গাঁথা
জানিনা কখন সেই প্রথম প্রণয়ের মালার
ফুল গেছে শুকিয়ে।
সব কিছু হয়ে গেছে অপরিচিত ;
শুনতে পাচ্ছি বেয়নেটের গর্জন বা ওই
রণভেরীর সাবধানী ঘন্টা ।
বেজে উঠছে সহস্র কামান গর্জন করে
উদ্ধত বুলেটের স্কুলিঙ্গ বেরিয়ে
জ্বালিয়ে দিচ্ছে চারপাশ
অথবা এটোম বা হাইড্রোজেনের
সুইচ টেপার প্রতীক্ষায়
মহাকাল দাঁড়িয়ে প্রহর গুণছে।
বিভেদ ভারতী তথা পৃথিবীর নেত্রীবর্গ
সদা হুঙ্কারিছে যেন এখনই উঠবে
মহাগ্রাসী সাইক্লোন ।
ইদানীং মোরা বেঁচে আছি শুধু
বুমেরাং হয়ে যাওয়া সভ্যতাকে সাপোর্ট করে।
মোরা আজ নির্বাক হয়ে
দাঁড়িয়ে আছি বঞ্চিত মৃতদেহগুলিকে
স্কন্ধে নিয়ে ।
এগিয়ে চলার পথ রুদ্ধ হয়ে আসে,
পা পিছলে পড়ার সংকেত ,
কিংবা শানিত বেয়নেটের আতঙ্কে ঘেরা
রক্তাক্ত প্রান্তরের রক্তাভ পিচের উপর রক্তের
আলপনায় রয়েছে লেখা
মোরা প্রতীক
আগামী দিনের এক সভ্যতার ।