ঝরো ঝরো বৃষ্টি ধারায় বর্ষার আগমনে,
হৃদয় নদীর কূলে কূলে পুলক লহরী জাগে।
ইচ্ছে করে পাল তুলে দিই মল্লার সুর তানে,
ভেজা বাতাস লাগবে পালে ভাসবে তরী দুলে।
কদম্ব কেশর ঘ্রাণে মাতাল হবে যখন মন,
কদম রেণু অঙ্গে মেখে ভিজবো সারাক্ষণ।
সোঁদা মাটির গন্ধে ক্ষণে প্রাণ হবে উচ্ছ্বল,
হারিয়ে যাবো কেতকী বনে চলবো ছলাৎ ছল।
বিরহী মনটা সুদূরের টানে ধায় যে পাখা মেলে,
আকাশ পথে বলাকা দলে চায় যে মিশে যেতে।
দিনের আকাশ মেঘে ঢাকে পবন ছুটে বেগে,
মন ব্যাকুলি তেপান্তরে রাখালিয়া বাঁশি-সুরে মাতে।
উদ্বেল হয় বিটপীর সারি; জাগে হিল্লোল শাখা প্রশাখায়,
বাদল দিনের রিমঝিম ধ্বনি অলীক সুরে মনকে মাতায়।
উদাস হিয়া, তৃষিত বসুধা পিয়াস মেটায় সুধাবারি সিঞ্চনে,
অম্বর বুকে চিক্কুর রেখা দেখে উদ্বেগ জাগে ভয় সনে।
ঝিল্লিমুখর বাদল সাঁঝে মন্ডুক জুড়ে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ,
স্বপন স্বরূপ কাটে যামিনী বর্ষারানির অঝোর ঝরন।
আষাঢ় মেঘের ছায়া খেলে রোদ বৃষ্টির যুগল তালে,
গুরু গুরু ভেরীর নাদে বর্ষামঙ্গল হয় উৎসব মুখর।