কাব্য আমার আসেনা
মনের ভাবনাগুলো লিখে চলি,
যখন যেমন ভাবি জীবনকে মেলে দিই।
কখনো নির্ঝর ঝরনার সুরে
কখনো বৃষ্টি সিক্ত নরম ঘাসে
শীতের শিশির বিন্দুতে অথবা
উঠোন জোড়া রোদ্দুরে।
সঙ্গী জুটিয়ে নিই গাছপালা ফুল পাখিদের
আষাঢ়ের জলকণা ভরা কাদম্বিনী…
শ্রাবণের কাজলা মেঘের অঝোর ঝরন,
আমার ভাবনার সঙ্গী।
আমি ওদের সাথে নিজের মত খেলে আনন্দ পাই।
শালিক ছাতারের ঝগড়া
বেনে বৌ-এর একটানা শিস
অলস দুপুরে কোকিলের কুহু তান,
ঘন বরিষণে ময়ূরের নৃত্য আমার ভাবনাকে উদাস করে।
মাঝির ভাটিয়ালি গানের সুরে দূর বিজনে হারিয়ে যাই।
বাউলের সুরের সাথে নীল দিগন্তে পৌঁছে যাই।
রাখালের সঙ্গে ঘুরে বেড়াই মাঠে বনে।
হংসবলাকার পাখায় সুদূর নীলিমায় ঘুরে আসি।
শঙ্খচিল গাঙচিল মাছরাঙা সকলের সঙ্গে নদীবক্ষে উড়ে ফিরি।
আবার কখনো উদ্দাম বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দিয়ে চলে যাই কংক্রিট অথবা পিচের রাস্তায়।
তরুণ তরুণীদের ভাবনায় পা মিলিয়ে গা ভাসিয়ে দিই উন্মত্ততায়।
ওদের সাথে দাঁড়িয়ে ফুচকা আর তেঁতুল জলের আস্বাদ নিতে শাল পাতার দোনা হাতে
মিশে যাই ওদের দঙ্গলে।
বাজারের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ঘুরে উইন্ডো শপিং করি।
ওদের বেদম হাসির সারল্যে আমিও হাসি। একরাশ আনন্দ নিয়ে ফিরে আসি।
নিত্য নতুন ভাবনার আবহে চলে যাই তেপান্তরে, সপ্তসিন্ধুর পার, পর্বত,মেরু, মরু অঞ্চলে।
ভাবনার রথেই আমার দিনযাপন।