অন্ধকারের চাদর সরে
সকালের রোদ্দুরের প্রেম,
মনোমুগ্ধকর বাতাসে ভেসে আসে গীতবিতানের সুর
‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল, করেছ দান
আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান’
হৃদয় মঞ্জরীর পাতায় পাতায় শিহরণ
আজ যে পঁচিশে বৈশাখ।
মসলিনের সুতো দিয়ে বানিয়েছি উত্তরীয়,
প্রেমডোরে গাঁথা আছে বকুলের ফুল
কতো ভাবি ধরি তাকে, নেই তাঁর কুল।
আলিঙ্গনে বাঁধতে চেয়ে দু বাহু বাড়াই
অতল সাগর তুমি, কেবলই হারাই।
মৌলিক সংসারে তাই যৌগিক বিষাদ
সত্যের পুঁজি শেষে মিথ্যার আহ্লাদ।
তবুও চলার পথে সঙ্গীহীন আমি
কান টেনে কে যেন বলে
‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’
অনেকটা সময় পেরিয়ে এসেছি এক জীবন বন্দরে,
বঞ্চনার শিকার হয়েছি, হয়েছি লোভের বশবর্তী
আলো-অন্ধকারের সীমানা পেরিয়ে আজ এইখানে।
রুদ্র তাপসের রক্তচোখ পেড়িয়ে ভেসে আসে জ্যোতিদাদার সেতার
তুফানের মাঝখানে, সমূদ্র গহ্বরে যেখানেই বিপদে পড়েছি,
তোমাকেই স্মরণ করেছি।
নীল আকাশের মেঘেদের সরণে বারবার গঠিত হচ্ছে প্রাণের ঠাকুর।
এক লহমায় বলে উঠি ‘হে নুতন দেখা দিক আরবার’
মন্দ ঝড়ের তান্ডবে স্তম্ভিত আমি কেবলই তোমাকে খুঁজি।
জীবনের আবহে কত কিছুই না দেখলাম,
রঙীন পৃথিবী নানান ছলে তোমাকে ভুলিয়ে দিতে চায়
হাসিমুখে বলে উঠি
‘মসী লেপি দিল তবু ছবি ঢাকিল না।’