প্রাচীন কালে উজ্জয়িনী নগর মাঝে ,
ছিলেন কবি নামটি যাহার হৃদে রাজে ,
নবরত্নের প্রধান মণি,
কবিত্বের এক মহান খনি ,
জ্বলছে আজো জ্ঞানের শিখা দিবস রাতে ,
শকুন্তলম্ মেঘদূতমের কাব্য পাতে।
নামটি তাহার কালিদাস যে প্রথম দিকে ,
বোকা বলেই জানতো লোকে দিকে দিকে,
বিতাড়িত করলো যারে,
রাজার কন্যে একেবারে ,
মনের দুঃখে চললো সোজা দীঘির কূলে ,
ঝাঁপ দিয়ে সে মরবে বলে সকল ভুলে।
এমন সময় দেখলো সে যে দীঘির বুকে ,
পদ্মাসনে আছেন বসে পরম সুখে ,
সরস্বতী জ্ঞানের দেবী ,
নিত্য যাহার চরণ সেবি,
অজ্ঞানেরই তমসা দূর করেন লোকে ,
পায় যে মুক্তি দুঃখ ব্যথা করুণ শোকে।
কর জুড়িয়া করলো প্রণাম নতশিরে,
দূর করো মা তমসা মোর বললো ধীরে,
বলেন দেবী স্নেহভরে ,
দানিনু বর তোরই তরে,
মহাকবি হবি রে তুই যারে ফিরে ,
নাশিস্ নে তোর এই মহাপ্রাণ গভীর নীরে।