বললো সে,
অভিমান-অভিযোগ যাচ্ছে বেড়ে
উপেক্ষা-অনুযোগের স্বরে
একটু একটু করে
যাচ্ছি সরে দূরে
কুয়াশা ও হিমের ভিতরে।
আমি বললাম,
সরিয়ে কোথায় এনেছো, কোন্ অন্তরালে
হেঁটে চলেছো বর্ধিষ্ণু খাদের কিনারা ধরে
অস্তিত্বের তপ্ত নিঃশ্বাস ছড়িয়ে
আদিম আকাঙ্ক্ষার অদৃশ্য কলঙ্ক-প্রাচীরে।
সে বলল,
পাওয়া না পাওয়ার সকল ভ্রান্তি শেষে
ক্লান্তিবিহীন সেও একদিন
শোধ করে সকল ঋণ
শান্ত হবে তুলে শ্লোগান
নিঃসঙ্গ অনুভূতিহীন।
আমি বললাম,
সকল অভিমান-অভিযোগ স্পর্শ করে
নির্ভেজাল বিচরণ বিশ্বাসের অবয়ব স্বরে,
অনুশোচনার ক্ষত আছে জমা যত
সুবর্ণ পালক হয়ে পড়ুক ঝরে
শিশির-বকুল হয়ে অনির্বাণ সুখের ঘরে।
বলল সে,
ভালোবাসার টানে দুইহাতে কুড়াই
অনুশোচনার সকল ক্ষত
জড়ো করে রাখা বক্ষে
আরও বেশি কিছু পাওয়ার লক্ষ্যে
বাড়াই হাত অবিরত।
আমি বললাম,
ভালোবাসার টানে জমা সবটুকু ঋণ
দুইহাতে কুড়িয়ে এনে ক্ষরিত তাপে
আনমনে পুড়তে থাকে দগ্ধচিতায়,
কিছু অনুভবহীন ইচ্ছাগুলো বাঁচে
কুয়াশার ভিড়ে শিকারির ঠোঁট ছুঁয়ে
পাণ্ডুলিপি ছেড়ে দীর্ঘোশ্বাসের আয়ুরেখায়।
বলল সে,
ভাগ তো সবাই চাই
তাই, দিয়ে যেতে চাই
যতটুকু আছে সঞ্চিত,
শেষ হবে একদিন
সকল ভাগাভাগির ঋণ
সংগোপনে রেখেছি যত গচ্ছিত।
আমি বললাম,
না পাওয়ার ক্লান্তি ভুলে
তোমার আঙিনায় প্রতিটি বিকেলে
বাতাসের যত্নে বেড়ে ওঠা ফুলে
এক নীল প্রজাপতি ডানা মেলে।
মুঠোভরা প্রেমে সাজাও তাকে
জলছোঁয়া নিরব সাঁকোয়
নৈঃশব্দের প্রদীপ জ্বালিয়ে
দিনলিপির রোমকূপ জুড়ে
রেখো তাকে স্বযত্নে
নিঃসঙ্গ বক্ষে জড়িয়ে।
তার নীল আঁচল জুড়ে
মাখিয়ে রেখো সন্তর্পনে
প্রেমের তৃষিত ঘ্রাণ
স্বগোতক্তির নিঃসীম চুম্বনে।