পূর্ণিমা রাতের জ্যোৎস্না প্লাবিত লাবণ্যময়ী চাঁদ
যেমন করে ছোঁয় পৃথিবীর হৃদয়,
ভরিয়ে তোলে শীতলতায়,
যেমন করে পাখি ডাকা ভোরে জেগে ওঠে সোনালী তপন,
ছোঁয় ঘুমন্ত ফুল-পাতা,
মিষ্টি হাসিতে ছোঁয় জানালার কার্নিশ,
ঘাসের ডগায় ছড়ায় তার স্নিগ্ধতা,
তেমনি করেই তুমিও ছুঁয়ে আছো পৃথিবীর হৃদপিণ্ডকে,
তোমার অতলস্পর্শী চাহনিতে
পৃথিবী দেখে প্রথম প্রভাত,
তোমার চুঁইয়ে পড়া ভালোবাসার
প্রতিটি কণা থেকে জন্ম নেয় নতুন প্রাণের চারা,
বসুন্ধরা পায় সুশীতল প্রাণবায়ু,
যেমন করে জীর্ণ কঙ্কালসার পাঁচিলের
ওপর জন্ম নেয় আগামীর মহীরুহ ,
স্বভাবসিদ্ধ হাসিতে বুঝে নেয় নিজের অধিকার,
তেমন করেই তোমার নির্ঘুম চোখের দৃষ্টি ছোঁয়
খিলখিলিয়ে ওঠা সদ্যোজাত ভোর,
মুছে দেয় পৃথিবীর পাঁজরে পাঁজরে লেগে থাকা
সকল অপমান-লাঞ্ছনা দুঃখ-কষ্টের মর্মগাঁথা,,,,
তোমার কোমল স্পর্শে প্রাণ পায়
চটা ওঠা ধূসর প্রাচীরের পান্ডুলিপি,
মন খারাপের সকল জানালা ছুঁতে চায় তোমাকে,
তুমি যে পৃথিবীর প্রাণ, জীবন্ত সঞ্জীবনী সুধা,
মমতাময়ী অমরত্বের ধারা তুমি,
তোমার সেবাতেই প্রাণের বনাঞ্চলে পাখিরা গেয়ে ওঠে গান,
সারা পৃথিবী অভিবাদন জানায় তোমাকে,
তুমি যে পৃথিবীর বিরল স্পন্দন, সৌভাগ্যের অহমিকা
শতকোটি প্রণাম তোমার চরণে,
তুমি যে ভীষণ মৃত্যুর বিভীষিকা,
জীবন্ত প্রাণের তুমি জন্মদাত্রী সহস্র আলোকবর্তিকা।