বুঁদ —–হয়েছিলাম —
কেমন যেন নিজের ভেতরেই
কথার ভাঁজে কথারা জমছিলো
সঙ্গোপনে,বুঝিবা আপনমনেই-
এক সাগর ভাললাগার ঢেউ
অন্তর্লীন দোলায়িত মন
বুঝতেই পারিনি-মন বা আমি–
দু’জনের কেউ—
নিরন্তর প্রয়াস ছিলো —–
জোনাকির পিদিমের মতন
অনুভবের উষ্ণতায় স্বাদ নেবো
চুপি চুপি একটু একটু করে–
কল্পনায় সাতমহলা স্বপ্নের বসত
কে জানতো,দিতে হবে খেসারত ?
আবেগ,অনুরাগ বিন্দু বিন্দু ক্রমশঃ
ঘন হয়ে জমাট বাঁধছিল-
প্রকাশের আকুলতায় – খুঁজে চলেছি–
একান্তে—একটু নিরালা দূর্লভক্ষণ!
কে জানতো !অলক্ষ্যে দৈবের পরোয়ানা
হামলে পড়ে,পলকে—লন্ডভন্ড হবে—
আলকাতরার মতন একরাশ কালো ছায়া
উফ্ কি ভয়াবহ ! নির্মম—নিষ্ঠুর !
তছনছ্ অনুভূতি,আবেগ, ভালোলাগার মূর্ছনা
আর,আর যতোকিছু স’ব——
অতলান্ত আঁধারেই–এখন আমার-বসতবাড়ি
আলো দিয়েছে জন্মশোধ আড়ি
আঁধারে কি ফুল ফোটে?পাখি গান গায়?
ভালবাসার কথাকলিরা কি কাব্য লিখে ?
অদেখাকে শুধু একপলক দেখার তীব্র ইচ্ছেতে
তমসার কালো পাথর বাটি চাপা—
নিয়তির কারসাজি ! যায় না যে মাপা
কখনোই আর বলা হবেনা,যে কথা হয়নি বলা–