প্রতিটি মানুষের মনের মাঝে একটি পাখি মনের বাস।
সারাক্ষণ আবদ্ধ থাকলেই মনপাখিটা করে হাঁসফাঁস।
সারাদিনের কাজের অবসরে একটু সুস্থির হয়ে বসে
পাখির মতন বাঁধন হীন মনে ভাবতে খানিক রসেবসে।
আমার মাঝে সত্যি সত্যি একটি বলাকা মন আছে।
সংসারী হয়েও বেদুঈনদের মতো, মনটা কেবল নাচে।
সংসারের কূটকচালী পায়ের শেকল,গলায় ফাঁস।
পাখি ও খাঁচায় বন্দী হলে ফেলে নিরুপায় দীর্ঘশ্বাস।
জীবনটা অদৃষ্টের পরিহাস বলে গুমড়েমরে খাঁচার পাখি।
নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে উচাটনে ভরে আঁখি।
বন্যজীবনের কলকাকলী মুখর দিনগুলি ছিল বর্ণিল
মুক্ত ডানা মেলে দিগন্তের বুকে ভেসে খুশি ঝিলমিল।
অমনতরো খেদ বুঝি বা বলাকা মনের বুকের খাঁজে।
নিরালা ক্ষণের বোঝাপড়ায় বিষাদ ঢেউ চোখে সাজে।
বাঁধনহীন বল্গাছাড়া বলাকা মন ঝর্ণার কলকল তানে।
মুখরিত উচ্ছ্বাসে সুরধুনী হিল্লোলে মেতে ওঠে গানে।
শ্যামল ঘাস গালিচায় শুয়ে শুয়ে দেখে মেঘেদের খেলা।
ইচ্ছে জাগে ,জলাঙ্গীর জলে ভাসাতে কাগজের ভেলা।
প্রকৃতির মুক্ত বাতায়নে মন ভরে অপার অসীম আনন্দে।
বিলক্ষণ বুঝতে পারি খাঁচায় বন্দী পাখি কতোনিরানন্দে।
সবার মাঝে বলাকা মন নিগড়ে বাঁধা দায়িত্বের বাঁধনে।
অবসরের একচিলতে আকাশ তার শুধুই নিরালা ক্ষণে।
“বলাকার পাখায় থাকে মুক্তির আশ্বাস, মানুষের তা কৈ!
দায়িত্বভারে চাপা বলাকা আনমনে ওড়ায় ভাবনার খৈ।