তোমার কবিতার পঙক্তি গুলোর
মাদকতা ভীষনভাবে টানে–
দারুণ মুগ্ধতায় জড়িয়ে ধরে মনকে
পঙক্তিগুলো আচমকা কখন যে
জীবন্ত অবয়বে তুমি হয়ে ওঠো !
আমি অনুভব করি -তোমার কবোষ্ণ স্পর্শ!
ভেতরের অবরোধের দেয়ালটা —-
ক্রমশঃ আবেশে স্খলিত—-
দেহের তন্ত্রীতে—তন্ত্রীতে–শিরায়–অস্থিতে—
ধমনীর রক্তপ্রবাহী নালীগুলিতে—
শুধুই—কবিতার পঙক্তিমালা—-
দুর্বার–দুর্দম সে উচ্ছ্বাসের দুরন্ত প্লাবন—
গভীর হতে হতে—গভীরে—-
সেই আগ্রাসী উদ্দাম তরঙ্গে ভেসে যেতে যেতে–
অনুভবে পেলাম —এক নতুন আমিকে–
যে হয়তো বা অন্তরের গহনে ছিলো—একেলা !
যে মনটাতে ছিলো হয়তো বা-,একরাশ–
আকাঙ্খার অস্ফূট পঙক্তিমালা
যা ,হয়তো বা,শৈথিল্যের চাদরে আবৃত—
তীব্র বিবমিষার চক্রব্যূহে–
নিঃসঙ্গতার সকরুণ দীর্ঘশ্বাস !
আমি তাই—–মনের অর্গল দিয়েছি খুলে—
অবারিত প্রবেশ করুক অযুত পঙক্তিমালা
আমার পরবাসী মন–মনে ফিরুক—
জীবন ফিরুক জীবনে —
এক নতুনতরো আবিস্কারে !