লাভ রিয়েক্ট
কত বছর তোর সাথে দেখা হয়নি বলতো..
সেই ছোটবেলায় হঠাৎ করে স্কুল জীবন থেমে যাওয়া।আমার কোলকাতায় চলে আসা। তুই আমাদের স্কুলের ফার্স্ট গার্ল ছিলি। আমাদের ক্লাসে তোর রোল নাম্বার থাকতো এক, আমার থাকতো দুই।এই এক এবং দুইয়ের মাঝে কখনো কাউকে প্রবেশ করতে দিইনি। কখনো তোকে অতিক্রম করে আমার রোল নম্বর এক যাতে হয় সেই চেষ্টাও আমি করিনি। আমার এই চেষ্টা না করা এবং এই এক এবং দুই রোলের মাঝখানে কারুর প্রবেশ হওয়া না মেনে নেওয়ার কারণ আমার জানা ছিল না।
তবে এটুকু বুঝতে শিখেছিলাম তোর কাল হরিণ দুটি চোখ, তোর টোল খাওয়া গালের হাসি কিছু বলতো। হয়তো তুইও সেগুলো জানতি না।
আমিও জানতাম না, মনে মনে বুঝতে পারতাম।
আমাদের ক্লাসের প্রথম সারির কয়েকজন ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপ এক্সামিনেশনে বসে ছিলাম।
সামান্য কিছু মার্কসের জন্য আমার কপালে স্কলারশিপ প্রাপ্তি হলো না। তুই স্কলারশিপ(বৃত্তি)পেয়েছিলি। সালটা সম্ভবত ১৯৯৭।
তখন পল্লীমঙ্গল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সর্বত্র তোর সুনামের ছড়াছড়ি। পড়াশুনাতে আমি তোর থেকে একটু পিছিয়ে থাকলেও কবিতা পাঠ; একক অভিনয়; উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদি সাংস্কৃতিক মূলক কার্যকলাপে আমার নাম ততক্ষণে বিদ্যালয়; গ্রাম; তথা জেলা; উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে তুইও একদিন গর্ব করেছিলি আমাকে নিয়ে। তুই স্কলারশিপ পাওয়ার পরের দিন আমাদের পল্লীমঙ্গল বিদ্যালয়ের একটি খালি কক্ষে আমি চুপচাপ আনমনা হয়ে কিছু ভাবছিলাম।
তখন বিদ্যালয়ে জুড়ে তোর সুনামের তুফান আকাশে বাতাসে এবং সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মনের প্রানে মুখরিত। তুই আমার দিকে তাকিয়ে বললি। “দেখ সুব্রত, আমি এ বছর বৃত্তি পেয়েছি ঠিকই কিন্তু তুই বৃত্তি না পেলেও কবিতা পাঠ, সাহিত্যচর্চা, উপস্থিত বক্তিতায় সর্বোপরি এবছর যেমন খুশি তেমন সাজোতে একজন