অনন্তকালের বন্দিদশা থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া
একদল বাতাস শিশির ভেজা সবুজ ঘাসে বসন্ত বিলাসে এসেছিল ধরণীর অনন্ত ঘুম ভেঙ্গে জেগে ওঠা শীতল শিহরণ জাগানো রক্তিম গোধূলির স্পর্শে,
ভালবাসার উষ্ণ সান্নিধ্যে কোন এক নেশাচ্ছন্ন ভোরে লজ্জায় শিহরিত সূর্যমুখীর রাঙা ঠোঁটের কোণে লুটিয়ে পড়া প্রেয়সীর ঘ্রাণ অনুভব করা অভিমানী বাসন্তিকা পলাশের খোঁজে ফেরে অশান্ত অতৃপ্ত হৃদয়ে,
প্রেমের মরুভূমিতে বিরান মনের উদ্যানে
তৃষ্ণায় ক্লান্ত রাধাচূড়া যখনই দাঁড়াত এসে এলোচুলে, চোরাবালির সকল আড়ালতা সরিয়ে
মন-ভাঙ্গনের রাতে, অনুভবের নামে তার হলুদ আঁচল মেলে ধরত সাঁঝের রজনীগন্ধা হয়ে,
যতন করে ছুঁয়ে দিত হত বন্দিনীর দু-চোখের পাতা,
তখনই ঝলমলিয়ে উঠত আদিগন্ত খানিকটা উপেক্ষায়,
বসন্ত উল্লাসে ধরণীও তখন উঠত মেতে মামুলি ফাল্গুনে, সোনাঝরা দিবসে নবীন পল্লবে, ফুলে-ফুলে , শাখে-শাখে, সুখ ঝরে পড়ত বাঙালির বসন্ত বাহারে।
হৃদয় উঠত মেতে রঙিন আবেগমাখা আবিরের সোহাগে,
পলাশের রক্তিম অনুরাগে।