শহর আর সভ্যতার দূরত্বটা চুকিয়ে
বুকের মধ্যে মস্ত বড় ছাদে
শীতলপাটি বিছিয়ে
খানিক উসকো-খুসকো, খানিক পরিপাট্য
সাজিয়ে-গুছিয়ে, অসম্ভবের অসঙ্গতে
উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত
বস্তু আর সম্পর্কের পার্থক্য মুছে নিজেকে
দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্ত স্রোত ভেঙে
আগের মত নিষ্পাপ বিশুদ্ধ মৃণালের মতো করে
ফুটিয়ে তুলতে বিংশ শতাব্দীর চৌরাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি,
তৃপ্ত এক অবগাহনে
অপরূপ ইন্দ্রধনুর চুম্বনে
কুয়াশার ধোঁয়াটে নয়ন মুছে
তীর্থধূলির মত বুকে তুলে দুর্দিনের দাহ-লেশ
দুর্মূল্য স্বপ্নের উপাখ্যান তন্ডুলে ভরে
আত্মার নিঃসঙ্গ নক্ষত্রবীথির সুদূর নীলিমা হয়ে,
নৈশ্য প্রহরেও রোদ্দুরের পোড়া গন্ধ মেখে
বেড়িয়ে এসেছি প্রতিটি রন্ধ্রের দীর্ঘশ্বাস ছুঁয়ে,
কবির কবিতার প্রতিটি ছন্দে।।