যদি দেখা হয় আসা যাওয়ার পথের ফাঁকে,
শুধু একটা কথাই জানতে চাইব,
আমাকে প্রায় ব্রাত্য করে তুমি কি পেলে ?
যখন জানতে আমি তোমার সঙ্গেই থাকতে চাই,
অবশ্যই ছিলে এতদিন, তাই বলে এখনই চলে যাবার তাড়া এল ?
জানতে তো আমি হাসিমুখে সব সহ্য করে বেঁচে থাকি , আর এটা জেনেই তুমি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিলে, কার্পণ্য করনি গতকাল পর্যন্ত ।
তাহলে কি ধরে নেব সবটাই ছিল মেকি ?
লোকদেখানি ?
খুব হাসছি তোমার কাজ দেখে , একদম ছোটদের মত কাজ ।
শুধু জেনে রেখে দাও – আমিও অঙ্ক জানি ।
তফাৎ এটাই, তুমি আগে করেছ , আমি পরে ।
বুঝতেই পারছি তোমার অঙ্কে আমি পরাজিত ।
নাহ্, অঙ্ক ভুল নয় , ভুল তুমি ।
আজও ধরতে পারলে না আমার মানসিক দৃঢ়তা ।
তাই শেষবেলাতে বলে যাই —
তুমি ভয় পেয়েছ আমার মানসিক দৃঢ়তার কাছে ,
তুমি ভীতু তাই ছেড়ে দিয়েছ আমার হাত ।
ওহে জীবন তুমি শুনে নাও ,
জন্মানোর দিনই অঙ্ক করেছিলাম,
জানতাম সব কিছুই ,
আজ হাত ছাড়লেও আমি কিন্ত হাত ছাড়িনি তার,
যার ভয়ে তুমি ভীত ।
সে আসছে ধীর পায়ে ।
আমি ঠিক উঠে যাব চিতাতে, সঠিক সময়ে।
তুমি বরং খেলা করে যাও অন্যদের সাথে ।
আমার যে খেলার সময় ফুরিয়েছে।
বরং যাই তার কাছে, যে জীবনের অমোঘ সত্য ,
শুধু আমার নয়, সকলের ।
জন্মানোর সময়ই যে লিখে রেখে যায় তার আসার
দিন – ক্ষণ।