তৃষ্ণার্ত হরিণী ছুটে যায় জলাশয়ে,
জলাশয়ের ঠিক ধারে চুপ করে শুয়ে ছিলো ভয়ংকর কুমির।
জলাশয়ের ওপারে এক হিংস্র বাঘ।
আজও রাত হলো অফিস থেকে বেরোতে।
একমাস পূর্ণ হলে বাবার কিছু ওষুধ লাগবে,
মায়ের জন্য রেশন।
উন্মত্ত শ্বাপদের দল বনভোজন করে সেই রাতেই
সেই মেয়েটির শরীর।
আজও বন্ধ মন্দিরের দরজার সামনে যন্ত্রণায় ছটফট করে সেই উদাসী মানুষ,
তার চুল ওড়ে বাতাসে শনশন করে।
মেট্রো রেল থেকে নেমে
ভয়ার্ত মুখে বাবা তাকায় আকাশের দিকে।
তার ছেলেটা আর কি চাকরি পাবে?
সূর্য যখন হেলে পড়ে পশ্চিমে,
কি বিবর্ণ দেখায় তাকে।
তবু সেই করুণ আলোর উৎসব হয় চারধার।
এখন আমার শরীরে কোনো নীল রং মাখিনা।
কৃষ্ণও নাকি নীল ছিলেন?
হঠাৎ কোনো আবেগের হাওয়া এলে,
আমার মনের চাঁদ ছুটে লুকিয়ে পরে মনেরই খানা খন্দরে।
আমার জীবনে কখনো জোৎস্না ফোঁটেনা,
ডুবে থাকি অমাবস্যার অন্ধকারে।