অনাদিকাল অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া ছুটিয়ে
ন্যায় বিচারের মুখোমুখি বিশ্বায়নের উদবর্তন,
তুচ্ছ মূল্যবোধ আর আবেগের বশে
নিষ্পেষিত শ্রমজীবীরদল অভুক্ত,
উদর পূর্তির লক্ষ্যে সময়ের য্যুপকাষ্ঠে বন্দী।
স্বার্থের আকাশটা সীমানা ছাড়িয়েছে
প্রসারিত হতে হতে ক্রমশ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে
পৃথিবীর কার্নিশ ছুঁয়েছে,
জীবনের এক গণ্ডি পার করে প্রথম সকাল
পাড়ি দিতে চায় তীক্ষ্ণ তিমিরভেদী আলোকমালায়,
যেথায় জীবন আলিঙ্গন করে মৃত্যুকে।
চরম অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে আছে ধরিত্রীর আঙিনা জুড়ে,
স্বার্থান্বেষীরদল এখনও চিলেকোঠা ঘরের বাইরে
অশুভ সংকেত দেখিয়ে
মনে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ বয়ে আনে,
প্রতি মুহূর্তে জ্বলে স্বপ্নভঙ্গের আগুন,
একমুঠো মানবিকতার অভাবে
পিপাসার্ত হায়না গুলো রক্ত লোলুপ দৃষ্টিতে
ওঁত পেতে সমাজের বুকে,
নিকষ কালো পৃথিবীর চোখে লেগেছে
বিষাদে বিবর্ণ ধ্বংসের লেলিহান শিখা,
যা কিছু গোপন সবই তো অপ্রকৃত
সেই নির্মম শব্দাবলী ছিঁড়ে শোকের শহরের বিস্তৃত বর্ণনা
অন্তরঙ্গ ধ্বনিতে মুখরিত হয় গোরস্থানে কিংবা
ঘনীভূত কালো মেঘে ঢাকা
কুয়াশাচ্ছন্ন দিগন্তের অন্দরমহল
সঙ্গীহীন মধ্যরাতের মর্মান্তিক উপন্যাসে অনর্গল বিদ্রুপের বিভা ছড়িয়ে জীবনের গতিপথ দেয় পাল্টে,
যেখানে নেই এতটুকু পারিজাতের সুবাস
আছে পড়ে সর্বগ্রাসী সন্তোষহীন চোখের অন্তিম প্রলেপ,,,।।