কেটে গেছে সুদীর্ঘ তিরিশটা বসন্ত;
শ্রাবণ রাখেনি আজও তার বৈশাখী ঋণ,
নির্ঘুম গল্পের হাট বসেছে খোলা জানালার কার্নিশ ছুঁয়ে,
সেই ছোট ছোট গল্প নিয়ে উপন্যাস রচে চলে জীবন;
হৃদয়ে আজও বহমান উত্তাল সমুদ্রের খুনসুটি
স্নিগ্ধতার আবেশে ছড়িয়ে পড়েছে অপূর্ণতা,
স্বপ্নবোনা রাতের প্রহরীও গেছে থমকে;
জীবন আজ নির্বাসনের এক কঠোর অলীক
ভুবনে আবদ্ধ;
নিষ্পেষণের শিকলে জড়িয়ে আদ্যপ্রান্ত
হৃদয়ের গোপন ঘরের দাওয়ায় বসে আমার শহর
আজও ভেজে দ্বিধাহীন;
হন্যে হয়ে আজও খুঁজে চলি অদম্য প্রত্যাশার
রক্তঝরা ঘাম
হৃদয়ের আকাশ যখনই কেঁদে উঠেছে
গোধূলির শেষ আলোটুকু বুকে জড়িয়ে অশান্ত মন
খুঁজেছে তোমাকেই ;
তোমারই ছায়া তলে অবগুন্ঠিত মোর সকল সুর
কাটেনি আজও অবাক গোধূলির
নিদারুণ দৃষ্টরেশ;
জানি, কোনদিনও খুঁজবে না তুমি সেই বৃষ্টি ঝরা
আষাঢ়ি দুচোখ
প্রচন্ড গ্রীষ্মের আগুনে জ্বলছে অন্তরের মৃত্তিকা
ধূসর মেঘে ঢাকা অন্দরমহল
কেঁপে উঠছে ভূগর্ভস্থ কালরাত্রি
সাত জনম বেঁচে থাকার মিথ্যা ইচ্ছাটাও ঢাকা পড়ে
অহংকারের পাঁচিলে
কোন ভালোবাসা নয়, আমার জন্য রেখ শুধুই
বিরহের অটুট বন্ধন;
সারা জীবন আমি তাই বিরহের কবিতাই লিখে যাব
বিরহের মাঝেই না হয় প্রেম খুঁজে নেব।।