উমা আসছে ঘরে তাই,,
লক্ষ-কোটি মানুষের আনন্দ উৎসব।
দিকে দিকে আলোর রোশনাই
নারীর মনে আজও জমা ক্ষোভ।।
জগৎজুড়ে উমা বরণের অপেক্ষায়
বাজছে শঙ্খ-ঘন্টা, ঢাকের আওয়াজ।
আগমনী তোমার বন্দনা বিশ্বময়
তবুও নারীরা দিকে দিকে লুণ্ঠিতা আজ।।
অসুরবিনাশিনী তুমি মাগো জগৎজননী
আজ স্পন্দিত পৃথিবী অনাহারে।
উদ্ধারিবে তুমি এই বিশ্বধরণী
অশুভ শক্তির বিনাশ করে।।
তোমার পৃথিবীতে আজও নারীরা অসহায়
শিশুমন কম্পিত, স্তব্ধ-ত্রস্ত।
কন্যাশিশুর জন্ম পাপ মানা হয়
কেনো আজও মাতৃজঠর জরাগ্রস্থ ?
নোংরামী আর লালসায় পুরুষ মাতে
নারী হয় কলঙ্কিত, অপমানিত।
ধর্ষিতা নারী তবে কেন আজও
সমাজ-সংসার বিতাড়িত ?
অপয়া হয় নারী কেন জগত সংসারে ?
বিকিয়ে গেছে নারী কেন পণ্যের বাজারে ?
ধর্ষিতা তনুমন, পুড়ছে শরীর চিতায়।
নগ্ন সমাজের বুকে ঘুরছে পিশাচ কামনার লালসায়।।
তাইতো ,মাগো দশভূজা তোমায় করি আবেদন।
অসুর বধ করে তুমি দেখাও আবার অকালবোধন।।
রামচন্দ্র পুজো করে হয়েছে ত্রিলোকজয়ী।
ধরণী আজ রিক্ত-সিক্ত হয়েছে রক্তক্ষয়ী।।
নারীর ভূষণ ধূলায় লুটিয়ে
বুকে জমছে ব্যথার পাহাড়।
হৃদয়ে রয়েছে জাগরিত উমা
নয়নে শুধুই প্রজ্বলিত অঙ্গার।।
আজ মাগো চাই তোমার
ছোট্ট প্রতিশ্রুতি।
জগত থেকে বিনাশ করো
নারীর সর্বদুর্গতি।।
অস্ত্রহাতে রুখে দাঁড়ায় যেন
ক্ষতবিক্ষত নারী সমাজ।
নারীর আজ বোধন হোক
নবরূপে মাতৃরূপ সাজ।।
মাতৃপূজায় মেতে বিশ্ব চরাচর
নাও আজ সংকল্প ।
কন্যাভ্রূণ বাঁচবে গৃহলক্ষী রূপে
নারীর নেই কোনো বিকল্প।।
নারীও পাবে সমান মর্যাদা
পুরুষশাসিত সমাজে।
নারীর সম্ভ্রম বাঁচাতে সবাই
ব্রতী হও মহাকাজে।।