সুভাষকে খুঁজে বেড়ায় রাস্তাঘাটে, মন্দির-মসজিদে, আকাশগঙ্গায়
খুঁজে পাইনা।
শাসন-শোষণ রোদ্দুর হয়ে গ্যাছে কবে, নোটবন্দী হয়েছে, পঁচাত্তর পেরিয়েছে মাথা তোলার। অথচ আমরা –
সুভাষকে এখনও হাতড়ে বেড়ায় আকাশের রঙে, ধুলোযুদ্ধে, ঠান্ডা হয়ে আসা আগ্নেয়গিরিতে।
হ্রেষার যুদ্ধ লেগে থাকে দাঁড়িকাটা গোলোকে
ওদিক থেকে হুমকি আসে পরমাণুর, এদিক থেকে ধর্মের, উত্তর আকাশ হুমকি দেয় ঝড়ের-
সব আছে আমাদের, তবু ভয় পায়। এও জানি ঝড় থেমে যাবে, পরমাণু থিতিয়ে থাকবে, ধর্ম আজ নয় কাল সু-ভাষেতে পরিণত হবেই।
অথচ প্রতিটা শান্ত সকাল বুঝিয়ে দেয়
সুভাষ নেই, তবু সবখানে আছেন। রক্তের দিকে তাকিয়ে থেকে বলি, সব আছে আমাদের। সব বলতে?
সুভাষ।
যাকে খুঁজে বেড়ায় দেড়শো কোটি লোক
বনে-বাদাড়ে, রাস্তাঘাটে, আগ্নেয়গিরিতে
আজীবন মন্দির-মসজিদে বন্দনা করেও কে কবে দেখা পেয়েছে ঈশ্বরের?
নেই! নেই! উনি নেই, তবু সবখানে আছেন।
খুঁজে যাই, খুঁজে যাবো, জীবন-মরন-পুনর্জন্ম কিংবা এমন জন্মদিনের ভিড়ে
শুধু থেকে যাক। উনি ঈশ্বর তো! নাই দেখা দিতে পারে।