কিছু স্বপ্নভরা আবেশী সময়গুলো,
ঘড়ির কাঁটাকে অস্বীকার করে হাঁটে।
কিছুটা উদ্ভ্রান্ত, গন্তব্য জানা থাকলেও,
পথ অজানা।
লক্ষ্য স্থির, চঞ্চল চিত্ত, আবেগ আর স্বপ্নের ভীড়,
বাস্তবতার ছুটি।
নদীতে যেমন জোয়ার-ভাটা, আয়ারাম-গয়ারাম।
কাকেদের মিটিং-এ একই ঘটনা।
নিজেদের মাংস ছিঁড়ে খাওয়ার প্রবণতা ।
কিন্তু কেন ?
অন্তত এইটা প্রমাণ করতে যে বিভিষণ আর মিরজাফররা যুগে যুগে আসে তান্ডব নৃত্য করতে ভূতলে বা মনের নরম জমিতে।
লক্ষ্যে পৌঁছতেই পারা যায়, যদি স্থির থাকে মন।
মনের নরম মাটিতে কেটে বসা নখের আঁচড়কে অগ্রাহ্য করে এগিয়ে যাওয়ার শিক্ষা জানতে হয় ।
সবাই তো একলব্য হতে পারে না।
চর্চা আর সাধনার তফাৎ যদি না ধরা দেয় মগজে,
তবে বৃথা এ জন্ম।
সাহিত্য বহমান প্রবাহ ।
বিড়ির মুখে আগুন লাগিয়ে , কেউ কেউ
কমিশনের হিসেব খোঁজে ।
আর তাই সাহিত্য হয় স্থবিরতার মালা ঝোলানো একটা অতীতচিহ্ন।
ভাষা আর ব্যাকরণ, এদের সখ্যতা প্রশ্নাতীত।
আজ কিন্তু প্রশ্ন ওঠে !
আর উঠবেই না কেন ?
পাথরকে শ্যাওলাতে ঢেকে যাবার জন্য আর নদীতে কচুরিপানা দিয়ে স্রোত বন্ধ করার নিমন্ত্রণ যে আমরাই করেছি ।
আগামী প্রজন্মের কাছে এটাই বর্তমানের ব্যর্থতার দলিল ।
আমি তো উড়ছি ফিনিক্সের ডানায় ভর করে ।