একটা অসম্ভব ভালো কবিতা পড়ছিলাম
কোন এক মনখারাপের দুপুরে ,
লেখাটা তোমার ছিল ।
সেই এক্কাদোক্কা , কানামাছি , গোল্লাছুট ,
হ্যাঁ খুঁজেছিলাম, লেখার প্রতিটি আখরে।
হয়ত’বা অজান্তেই টিফিন ভাগ করেছিলাম
বেঞ্চে বসেই , বা , কাটা ঘুড়ি ধরবো বলে ,
পেরিয়েছিলাম স্বপ্নের তেপান্তরের মাঠ।
বয়ঃসন্ধিতে মৃত্যু হলো ব্যঙ্গমা ব্যঙ্গমীর।
যখন গলায় দড়ি দিলো পাশের বাড়ির
মিতু দিদি। অবিবাহিতা ছিলো, অন্ত:সত্ত্বা হলো কাউকে কিছু না জানিয়ে।
তেঁতুলের আচার চুরি করে সেই’তো এনে দিত দীঘির পাড়ে এই দুপুরে।
ছিল কিছু চোখের জল, সমীকরণ ও উপপাদ্য।
কে জানতো জীবনটা ঘুরে মরে ,
পাটিগণিত আর জ্যামিতিক নিয়মে !
অজানা লোক , অচেনা কবিকে ভালোবাসলাম,
জানা অক্ষরের মাপ যখন অচেনা করলে তুমি।
জানা জীবনকে বলেছিলাম , একটু ছাড়ান দাও,
ধরা দিক’না প্রেম ঐ বইটার পাতায়, কিছু ভালোলাগা অক্ষরের জন্মদাতার সাথে।
হায়’রে কে জানতো ঠিক তখনই ভাতটা গলে যাবে ! আর , আমার দেহ উপভোগকারী প্রফেসর
স্বামী , মুখ ঝামটা দিয়ে বলবে —
ছেলেটার জন্ম তুমি দিয়েছো , তার দিকে নজর দাও , কবিতা কি তোমাকে স্বর্গে নিয়ে যাবে ?
আমার কাজ অন্ন সংস্থান আর চিরক্লান্ত হবার আগে তোমাকে সর্বত ভাবে চুষে খাওয়া ।
কবি , প্রেমটার অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ি তুমি ।
সব কাজ মিটিয়ে নিজের ঘরে ধর্ষিতা হয়ে
দু ফোঁটা চোখের জলে খুঁজে চলি কালপুরুষকে ,
স্বপ্নের আকাশে , কিছু ছাপার অক্ষরে,
তোমার কবিতায় ।