হেমন্তের শিশির ভেজা সকাল, নরম স্নিগ্ধ রোদ
রোদ পোহাতে ভালোই লাগছিল
শিশির বিন্দুগুলি ছড়িয়ে আছে হেথায় ওথায়।
চিকচিক করে ওরা বলছে–
আমরা কত সুন্দর, তোমরা কি পার উপলব্ধি করতে!
আমাদের ওপর দিয়ে অবলীলায় হেঁটে চলে যাও
কখনও কি– ফিরে তাকিয়েছ আমাদের দিকে?
আমাদের কষ্ট কি কখনো করেছ অনুমান
আমাদের পদদলিত করে করেছ নিষ্পেষিত
আমরা ভোরের বেলায় ঘাসের আগায় ঝরে পড়ি
কেন জান— তোমাদের ভালো রাখতে;
সেই তোমরাই কর আমাদের নিপীড়ন।
পায়ে করে মুছে দাও, আমাদের সৌন্দর্য্যায়ণ
পদ্মপাতায় কখনো কি দেখেছ আমাদের?
কি অপরূপ সে দৃশ্য জানতেও পার না-
জানবে কিভাবে — তোমরা বোধহয় পদ্মপাতাই চেনো না
ইট কাঠ পাথরের জঙ্গলে আমাদের পাবে না
আমাদের পেতে গেলে চাই নির্মল আকাশ আর বাতাস
আর থাকবে ছোট ছোট গাছের জঙ্গল
তাহলেই আমাদের পাবে।
ঠিক যেভাবে পাও তোমরা ছোট শিশুর খিলখিল হাসিতে,
সেই হাসিটাও আজ তোমরা কেড়ে নিয়েছ যান্ত্রিকতার আড়ালে,
সেই শিশুর পদচারণা ঘরের ভিতর করে দিয়েছ স্তব্ধ,
অমলিন মনটাকে করে তুলছ যে বিষাক্ত :
আমরা শিশির আর ওরা শিশু
আমরা দুজনেই নিস্পাপ
এতো কিছুর পরেও আমরা থাকব অমলিন-
যতই আসুক বাঁধাবিঘ্ন, হাসি আর শিশিরে ভরিয়ে
তুলব এ মনের প্রাঙ্গন—-
এ তোমাদের কাছে এই শিশিরের অঙ্গীকার।।