বারান্দার কার্নিশে ঝুলে থাকা আধপোড়া
চাঁদটার গায়ের ফোস্কাতে মাখানো মখমলি মলমের মরাকান্না আর মাইকে বিচিত্র শব্দের গান ,
আমাকে ভাবায় ।
ঈগলের চিৎকার, মাইকে নেতার রেকর্ড করা ভাষণ , আর সেখানেই কেস খেয়েও কেস না খাওয়া নেতা, আশ্রয় নেয় ওই ঈগলের ডানার তলায় ।
পাড়ার নেড়ির পে-ডিগ্রি যদি হঠাৎই জোটে।
কাকস্য পরিবেদনা হতেই পারত।
হল না অঙ্কের কারসাজিতে কিছু বলা।
পশ্চিমবঙ্গ এখন কোটি মানুষের কোটির দেশ।
দেওয়াল, বাথরুম এমনকি খাট ।
কিছু অভাগা আজও হা পিত্যেশ করে অভিমানে মুখ চোখ কচলায়, ধরা পরা সম্পদ দেখে ।
সব চাহিদার শেষে তার প্রাপ্ত হয় শূন্য অভিমান ।
ঝালমুড়ির ঠোঙাতে ঘোড়া কেনা- বেচা, সঙ্গে তেলেভাজা আর ঘুগনি ।
আপেক্ষিক তত্ত্বকথা।
বাস্তবতা বিলীন।
হাজার হোক রাজা বা রাণীর মুখঃনিসৃত।
সব শেষে একটাই কথা থাকে —
যে জেতে ,তারই পৃথিবী ।
মিথ্যের ফুলঝুড়িতে দিন শেষে রাত।
সে অন্ধকারে আরও উজ্জ্বল হয় ।
তার আগুনের ফুলকি ছুঁয়ে যায় নৈতিকতা, সততা আর বিশ্বাসযোগ্যতা।
সবকিছুই কি আগুনে পুড়ে খাঁটি সোনা হয় ?
প্রশ্নের উত্তরে ভূষন্ডির কাক চোখে কালো কাপড় বাঁধে, লজ্জায় ।