পৌষমাসে গ্রাম ঘরে- ধান ঝাড়াই-মাড়াইয়ের সাড়া।
মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে সবাই খুশিতে আত্মহারা।
গ্রাম বাংলার ঘরে ঢেঁকিতে চলে চাল কোটার ধুম।
নবান্নের উৎসবকে ঘিরে পিঠেপুলির মরশুম।
নতুন ধানের চালের গুড়িতে পল্লীবধূ আঁকে আলপনা।
পৌষ পার্বণ উদযাপনের কতোই করে জল্পনা।
ঢেঁকির তালে পল্লীবধূর নাকের নোলক দুলে।
ব্রীহি কেমন ঢেঁকির সোহাগে মধুর শব্দ তুলে।
ভাঁপা পিঠে,চিতইপিঠে,মালপোয়া আরো নানা।
ক্ষীরপুলিতে জিভের স্বাদে ,আনন্দ ধরেনা।
আরো আছে, বিন্নি চাল ভিজিয়ে ভরে বাঁশের খোলে।
খড় পুড়িয়ে সেদ্ধ করে খাওয়া,যাকে চোঙ্গা পিঠে বলে ।
পৌষ পার্বণ এলেই আমার চোখ জলেতে ভরে ।
আলতা রাঙা মায়ের চরণ চলতো ঢেঁকির পরে।
ঘাম জবজব মুখখানিতে মৃদু মধুর হাসি।
কালসায়রের মরণ দোলায় কোথায় গেলো ভাসি।
মনে পড়ে খেয়ালীপনায় আমিও দিতাম ঢেঁকিতে পাড়।
মা বলতো,দুষ্টু মেয়ে,পারবিনে,তুই ছাড়।
আজকে আমার চোখের কাঁচে ভাসছে অতীত ছবি।
শব্দব্রহ্মে লিখছি তাই ,নইতো আমি কবি।