Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » জনপ্রিয় কবি ও সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় || Sankar Brahma

জনপ্রিয় কবি ও সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় || Sankar Brahma

জনপ্রিয় কবি ও সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম ৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ সালে, মাদারীপুর মহকুমা, ফরিদপুর, বাংলা প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে মাদারীপুর জেলা, ঢাকা, বাংলাদেশে)।
মাত্র চার বছর বয়সে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। ব্যাংকের পিয়নের চেয়েও স্কুল মাস্টারের বেতন ছিল কম। সুনীলের মা কখনোই চাননি তার ছেলে শিক্ষকতা করুক।
সুনীল গাঙ্গুলী (বাংলা সাহিত্য) এম.এ. পাশ করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে(১৯৫৪ সালে)।
সুনীলের পিতা তাকে টেনিসনের একটা কাব্যগ্রন্থ দিয়ে বলেছিলেন, প্রতিদিন এখান থেকে দুটি করে কবিতা অনুবাদ করবে। এটা করা হয়েছিল এ জন্য যে তিনি যেন দুপুরে বাইরে যেতে না পারেন। তিনি তা-ই করতেন। বন্ধুরা যখন সিনেমা দেখত, সুনীল তখন পিতৃ-আজ্ঞা শিরোধার্য করে দুপুরে কবিতা অনুবাদ করতেন। অনুবাদ একঘেয়ে হয়ে উঠলে তিনি নিজেই লিখতে শুরু করেন। পড়াশুনা শেষ করে মায়ের ইচ্ছা অনুসারে কিছুদিন তিনি অফিসে চাকুরি করেছেন। তারপর থেকে সাংবাদিকতা শুরু তাঁর।
প্রেমিকাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর লেখা প্রথম কবিতাটি ‘দেশ’ পত্রিকায় পাঠিয়েছিলেন (কারণ সেই প্রেমিকার বাড়িতে ‘দেশ’ পত্রিকাটি রাখা হতো), সেটি কিছুদিন পর দেশে প্রকাশিত হয়। তারপর তাঁর লেখা প্রকাশিত হয় বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘কবিতা’ পত্রিকায়।
১৯৫৩ সাল থেকে তিনি নিজেই ‘কৃত্তিবাস’ নামে একটি কবিতা পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একা এবং কয়েকজন’ এবং ১৯৬৬ সালে প্রথম উপন্যাস ‘আত্মপ্রকাশ’ প্রকাশিত হয়। তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই হল ‘আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি’, ‘যুগলবন্দী’ (শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে), ‘হঠাৎ নীরার জন্য’, ‘রাত্রির রঁদেভূ’, ‘শ্যামবাজারের মোড়ের আড্ডা’, ‘অর্ধেক জীবন’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘অর্জুন’, ‘প্রথম আলো’, ‘সেই সময়’, ‘পূর্ব পশ্চিম’, ‘ভানু ও রাণু’, ‘মনের মানুষ’ প্রভৃতি। শিশুসাহিত্যে তিনি “কাকাবাবু-সন্তু” নামে এক জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজের রচয়িতা।

আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান মি. পলেন কলকাতায় এলে সুনীলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয় হয়। সেই সূত্রে মার্কিন মুলুকে গেলেন সুনীল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসাবে। ডিগ্রি হয়ে গেলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-গ্রন্থাগারিক হিসাবে কিছুদিন কাজ করেন সেখানে। তারপর সেখানে আর ভাল না লাগায় দেশে ফিরে আসেন তিনি। তারপর বিয়ে করেন তাঁর প্রণয়িনী স্বাতী বন্দোপাধ্যায়কে। তাঁদের একমাত্র সন্তান সৌভিক গঙ্গোপাধ্যায় জন্ম ১৯৬৭ সালে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রণয়-প্রস্তাবে স্বাতী বন্দোপাধ্যায় সম্মত হবার পর, এই চিঠি লিখেছিলেন তিনি।
(তখন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বয়স ৩২ বছর)

বহরমপুর / বুধবার
২২ শে জুন ১৯৬৬

স্বাতী,
মনটা কী চমৎকার হালকা হয়ে গেছে আমার, কী যে ভালো লাগছে আজ। যে-কথাটা বলার প্রবল ইচ্ছে নিয়ে ঘুরেছি এ ক’দিন, অথচ মুখ ফুটে বলতে পারিনি, বলার সাহস হয়নি, সেদিন সন্ধ্যেবেলা যখন হঠাৎ বলে ফেললুম, হাঁটুর উপর মুখ রেখে তুমি যখন আস্তে বললে ‘হ্যাঁ’, সেই মুহূর্তে আমার জীবনটা বদলে গেল। আমি তোমাকে চাই, তোমাকে চাই,তোমাকে চাই _তোমাকে হারাবার ক্ষতি কিছুতে আমি সহ্য করতে পারবো না_ এই কথাটা প্রবলভাবে দাবি করতে চেয়েছিলুম, কিন্তু ভয় ছিল যদি এ আমার স্বার্থপরতা হয়, তাছাড়া, আমি তোমাকে চাই, তুমি যদি আমাকে না চাও? সত্যিই, স্বাতী, সত্যিই তুমি আমার হবে, এবং আমি তোমার হবো? আমি তো তোমার হয়েই আছি।
তুমি আমার সম্পর্কে হয়তো অনেক কিছুই জানো না, আমি নানা রকম ভাবে জীবন কাটিয়েছি, অনেক ভুল এবং হঠকারিতা করেছি, কিন্তু কখনো কোনো অন্যায় করিনি, আমি গ্লানিহীন, আমার স্বভাবে কোনও দোষ নেই- এ কথা তোমাকে বিশ্বাস করতেই হবে। আমি এ পর্যন্ত তোমার কাছে একটিও মিথ্যে কথা বলিনি, ভবিষ্যতেও তুমি যা জিজ্ঞেস করবে তার কোনো মিথ্যে উত্তর দেবো না। আমি তোমার যোগ্য নই, কিন্তু ক্রমঃশ যোগ্য হয়ে উঠতে পারি, হতে শুরু করেছি, তোমার সঙ্গে দেখা হবার পর থেকেই আমার নিজের মধ্যে একটা পবিত্রতার স্পর্শ ও বোধ পেয়েছি। তুমি আমার জীবনকে স্নিগ্ধ করে দিতে পারো। আমি তোমাকে জানি। আমি তোমাকে দেখেই তোমাকে সম্পূর্ণ জেনেছি। মানুষ চিনতে আমার কখনো ভুল হয় না, আমার চোখের দৃষ্টি কত তীক্ষ্ণ তুমি জানো না। আমি তোমাকে দেখেই জেনেছি – তোমার এমন অনেক দুর্লভ গুণ আছে – যা তুমি নিজেই জানো না। তুমি কি সত্যিই আমাকে গ্রহণ করবে? আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না। আমাকে গ্রহণ করলে তোমাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। কিন্তু তোমাকে পেলে আমার কিছুই হারাবার নেই – বরং, আমি অশেষ সৌভাগ্যবান হবো। তুমি কি আমার জন্য সেসব ত্যাগ স্বীকার করতে চাও? পারবে, তোমার এতদিনের চেনা পরিবেশ ছেড়ে আসতে? তোমাদের বাড়ি খুব সম্ভব আমাকে স্বীকার করবে না। আমার তো কোনো চালচুলো নেই। আমি বিদেশে গিয়েছিলুম – এটা কারুর কারুর কাছে হয়তো সম্মানের বা ঈর্ষার হতে পারে – কিন্তু ব্যবহারিক দিক থেকে তার তো কোনো মূল্যই নেই। আমাদের দেশ থেকে সবাই বিদেশে যায় উঁচু ডিগ্রী নিয়ে আসতে বা চাকরীর উন্নতি করতে – আমি শুধু ছন্নছাড়ার মত গিয়েছিলাম খেয়াল খুশীমতো জীবন কাটাতে। তা ছাড়া, বড় চাকরি করা বা খোঁজার চেষ্টা হয়তো আমার দ্বারা আর ইহজীবনে সম্ভব হবে না। আমি এক ধরনের স্বাধীনতা, অর্থাৎ লেখার স্বাধীনতা ভোগ করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমাদের পরিবার যদিও নির্ঝঞ্ঝাট কিন্তু কিছুটা নিম্ন মধ্যবিত্ত, তুমি যে-ধরনের জীবন যাপনে অভ্যস্ত- তাতে হয়তো তোমার খানিকটা কষ্ট হবে – অবশ্য জানি, জীবনের ক্ষেত্রে এসব কিছুই না, এতে কিছুই যায় আসে না – তবু, অভ্যেস বদল করা সত্যিই কষ্টকর। কিন্তু তুমি যদি এসব সহ্য করতে পারো – তবে বাকিটা আমি তোমাকে ভালোবাসা দিয়ে পূর্ণ করে দিতে পারি। আমি এতদিন খানিকটা অবিশ্বাসী হয়ে গেছিলুম, আমি ভেবেছিলাম আমার পক্ষে এ জীবনে কারুকে ভালোবাসা সম্ভব হবে না, কিন্তু আমি হঠাৎ বদলে গেলাম, তোমার জন্যে আমার এক বুক ভালোবাসা রয়েছে। আগে অনেকের সঙ্গেই আমার পরিচয় হয়েছে, কিন্তু তোমার মত কঠিন সরলতার সম্মুখীন হইনি আগে। আমি এরই প্রার্থী ছিলাম। তুমি আমাকে এত বেশি সম্মান দিলে প্রথমেই, আমার সামান্য অকিঞ্চিত্‍কর জীবনকে তুমি এমন মূল্যবান করে তুললে যে আমি অভিভূত হয়ে পড়লুম। আমি ক্লান্ত ছিলাম। আমি প্রতীক্ষায় ছিলাম, কেউ এসে আমাকে ডাক দিক। সেই সময় তুমি এলে। আমি তোমাকে ভেবে দেখতে বলেছি। তুমি খুব ভালো করে ভেবে দেখো। অন্য কারো কথা না শুনে, তুমি নিজেই ভেবে দেখবে। তোমার মনের দিক থেকে সামান্যতম দ্বিধা থাকলে – আমি বিদায় নিয়ে চলে যাবো। এবং ভেবে দেখবে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে- আমার প্রতি কোনো দয়া বা ভদ্রতাবোধ যেন দৃষ্টি আচ্ছন্ন না করে, কারণ প্রশ্নটা যে সত্যিই খুব বড়ো। তোমার যে-কোনো একটু ইঙ্গিতে আমি দূরে সরে যেতে পারি। আর, যদি তুমি রাজী থাকো, তবে কোনো বাধাই আর বাধা নয়, সব বাধাই তখন তুচ্ছ, তখন আমি জোর করে তোমার ওপর আমার অধিকার দাবি করে নিতে পারবো। সেদিন তোমার বান্ধবীর বাড়ির কাছে যখন তুমি নেমে গেলে, ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আমার দিকে হাত নাড়ালে, সেই মুহূর্তে তোমাকে খুবই দুর্বল, অসহায় আর উদভ্রান্ত দেখাচ্ছিল। তোমার মনের মধ্যে একটা দারুন ওলোট পালোট চলছে তখন- মুখ দেখেই বোঝা যায়। একটু পরেই আমার মনে হলো – তোমাকে ও-রকম ভাবে ছেড়ে দেওয়া উচিত হয়নি আমার, তখন তোমার রাস্তা পার হবারও ক্ষমতা ছিল না, আমার উচিত ছিল তোমার সঙ্গে আরও কিছুক্ষণ থাকা, তোমাকে বাড়ির দরজা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু তখন আমি খানিকটা দূরে চলে এসেছি, ফিরে গিয়ে আর তোমাকে পাবার উপায় নেই। কেন যে ঠিক সময়ে আমার ঠিক কথাটা মনে পড়ে না! কিন্তু এবার থেকে আর ভুল হবে না।
এখানে বন্ধু-বান্ধবরা খুব হৈ-হল্লা করছে। আমি কী লিখছি জানার জন্য অনেকেরই কৌতূহল ও ব্যগ্রতা। কিন্তু আমি একটুও জানাতে চাই না। কালকেই দুপুরে কলকাতায় ফিরবো। আশা করছি ফিরেই তোমার একটা চিঠি পাবো। সেদিন বাড়িতে কি খুব বেশী বকুনি দিয়েছে?

– সুনীল।

‘নীললোহিত’ সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম। নীললোহিতের মাধ্যমে সুনীল নিজের একটি পৃথক সত্তা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নীললোহিতের সব কাহিনিতেই নীললোহিতই কেন্দ্রীয় চরিত্র। সে নিজেই কাহিনিটি বলে চলে আত্মকথার ভঙ্গিতে। সব কাহিনিতেই নীললোহিতের বয়স সাতাশ। সাতাশের বেশি তার বয়স বাড়ে না। বিভিন্ন কাহিনিতে দেখা যায় নীললোহিত চির-বেকার। চাকরিতে ঢুকলেও সে বেশিদিন টেকে না। তার বাড়িতে মা, দাদা, বৌদি রয়েছেন। নীললোহিতের বহু কাহিনিতেই দিকশূন্যপুর বলে একটি জায়গার কথা শোনা যায়। যেখানে বহু শিক্ষিত, সফল কিন্তু জীবন সম্পর্কে নিস্পৃহ মানুষ একাকী জীবনযাপন করেন।

২০১২ সালে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসাবে বাংলা ভাষার-ভাষীর কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসাবে অজস্র স্মরণীয় রচনা উপহার দিয়েছেন। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার জীবনানন্দ-পরবর্তী পর্যায়ের অন্যতম প্রধান কবি। একই সঙ্গে তিনি আধুনিক ও রোমান্টিক। তার কবিতার বহু পঙ্‌ক্তি সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় “নীললোহিত”, “সনাতন পাঠক”, “নীল উপাধ্যায়” ইত্যাদি ছদ্মনামে লিখেছেন।
২০০২ সালে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা শহরের শেরিফ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে ও ১৯৮৯ সালে আনন্দ পুরস্কার এবং ১৯৮৫ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত তিনি ভারতের জাতীয় সাহিত্য প্রতিষ্ঠান ‘সাহিত্য অকাদেমি’ ও ‘পশ্চিমবঙ্গ শিশুকিশোর আকাদেমির’ সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বেশ কিছু গল্প-উপন্যাসের কাহিনি চলচ্চিত্রে রূপায়ণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ এবং ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া কাকাবাবু চরিত্রের চারটি কাহিনি ‘সবুজ দ্বীপের রাজা’, ‘কাকাবাবু হেরে গেলেন?’, ‘মিশর রহস্য’ এবং ‘পাহাড়চূড়ায় আতঙ্ক’, তাছাড়া ‘মনের মানুষ’ চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে। ‘হঠাৎ নীরার জন্য’ তার চিত্রনাট্যে নির্মিত আরেকটি ছবি।

২৩ শে অক্টোবর ২০১২ সালে হৃদ্‌যন্ত্রজনিত অসুস্থতার কারণে বয়স ৭৮ বছর বয়সে তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৩
সালের ৪ঠা এপ্রিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতার ‘গণদর্পণ’-কে সস্ত্রীক মরণোত্তর দেহ দান করে যান। কিন্তু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একমাত্র পুত্রসন্তান সৌভিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ইচ্ছেতে তার দেহ দাহ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্যবস্থাপনায় ২৫শে অক্টোবর ২০১২ সালে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।

তাঁর উপন্যাসসমূহ –

১). পূর্ব-পশ্চিম
২). সেই সময়
৩). প্রথম আলো
৪). একা এবং কয়েকজন
৫). আত্ম জীবনী
৬). অর্ধেক জীবন
৭). ছবির দেশে কবিতার দেশে
৮). আত্মপ্রকাশ
৯). অরণ্যের দিনরাত্রি
১০). সরল সত্য
১১). তুমি কে?
১২). জীবন যে রকম
১৩). কালো রাস্তা সাদা বাড়ি
১৪). অর্জুন
১৫). কবি ও নর্তকী
১৬). স্বর্গের নিচে মানুষ
১৬). আমিই সে
১৮). একা এবং কয়েকজন
১৯). সংসারে এক সন্ন্যাসী
২০). রাধাকৃষ্ণ
২১). কনকলতা
২২). সময়ের স্রোতে
২৩). মেঘ বৃষ্টি আলো
২৪). প্রকাশ্য দিবালোকে
২৫). দর্পনে কার মুখ
২৬). গভীর গোপন
২৭). কেন্দ্রবিন্দু
২৮). ব্যক্তিগত
২৯). বন্ধুবান্ধব
৩০). রক্তমাংস
৩১). দুই নারী
৩২). স্বপ্ন লজ্জাহীন
৩৩). আকাশ দস্যু
৩৩). তাজমহলে এক কাপ চা
৩৪). ধূলিবসন
৩৫). অমৃতের পুত্রকন্যা
৩৬). আজও চমৎকার
৩৭). জোছনাকুমারী
৩৮). নবজাতক
৩৯). শ্যামসাহেব
৪০). সপ্তম অভিযান
৪১). মধুময়
৪২). ভালোবাসার দুঃখ
৪৩). হৃদয়ের অলিগলি
৪৪). সুখের দিন ছিল
৪৫). ফিরে আসা
৪৬). রক্ত
৪৭). স্বর্গ নয়
৪৮). জনারণ্যে একজন
৪৯). সমুদ্রের সামনে
৫০). সামনে আড়ালে
৫১). জয়াপীড়
৫২). বুকের মধ্যে আগুন
৫৩). কেউ জানে না
৫৪). তিন নম্বর চোখ
৫৫). সুখ অসুখ
৫৬). অগ্নিপুত্র
৫৭). বসন্তদিনের ডাক
৫৮). সোনালি দুঃখ
৫৯). নদীর পাড়ে খেলা
৬০). যুবক যুবতীরা
৬১). পুরুষ
৬২). অচেনা মানুষ
৬৩). বৃত্তের বাইরে
৬৪). কয়েকটি মুহুর্ত
৬৫). রূপালী মানবী
৬৬). মহাপৃথিবী
৬৭). উত্তরাধিকার
৬৮). আকাশ পাতাল
৬৯). নদীর ওপার
৭০). হীরকদীপ্তি
৭১). অমলের পাখি
৭২). মনে মনে খেলা
৭৩). মায়া কাননের ফুল
৭৪). রাণু ও ভানু
৭৫). ময়ূর পাহাড়
৭৬). অন্য জীবনের স্বাদ
৭৭). দুজন
৭৮). খেলা নয়
৭৯). কিশোর ও সন্ন্যাসিনী
৮০). গড়বন্দীপুরের কাহিনী
৮১). টান
৮২). প্রবাসী পাখি
৮৩). বুকের পাথর
৮৪). বেঁচে থাকা
৮৫). রাকা
৮৬). রূপটান
৮৭). শান্তনুর ছবি
৮৮). শিখর থেকে শিখরে
৮৯). উদাসী রাজকুমার
৯০). নীল চাঁদ : দ্বিতীয় মধুযামিনী
৯১). একটি মেয়ে অনেক পাখি
৯২). আলপনা আর শিখা
৯৩). অনসূয়ার প্রেম
৯৪). মধ্যরাতের মানুষ
৯৫). কেউ জানে না
৯৬). অনির্বান আগুন
৯৭). নবীন যৌবন
৯৮). দরজার আড়ালে
৯৯). দরজা খোলার পর
১০০). পায়ের তলায় সরষে
১০১). মানসভ্রমণ
১০২). ভালো হতে চাই
১০৩). দৃষ্টিকোণ
১০৪). দুজনে মুখোমুখি
১০৫). মনে রাখার দিন
১০৬). সেই দিন সেই রাত্রি
১০৭). বেঁচে থাকার নেশা
১০৮). কর্ণ
১০৯). প্রথম নারী
১১০). দময়ন্তীর মুখ
১১১). প্রতিশোধের একদিক
১১২). কল্পনার নায়ক
১১৩). উড়নচন্ডী
১১৪). বাবা মা ভাই বোন
১১৫). এলোকেশী আশ্রম
১১৬). সমুদ্রতীরে
১১৭). প্রতিদ্বন্দ্বী
১১৮). সোনালী দিন
১১৯). স্বপ্নসম্ভব
১২০). ছবি
১২১). প্রতিপক্ষ
১২২). একাকিনী
১২৩). এর বাড়ি ওর বাড়ি
১২৪). এখানে ওখানে সেখানে
১২৫). দুই বসন্ত
১২৬). ভালোবাসা, প্রেম নয়
১২৭). প্রথম প্রণয়
১২৮). কপালে ধুলো মাখা
১২৯). অন্তরঙ্গ
১৩০). সুপ্ত বাসনা
১৩১). জলদস্যু
১৩২). আঁধার রাতের অতিথি
১৩৩). দুই অভিযান
১২৪). ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ
১৩৫). অজানা নিখিলে
১৩৬). কাজরী
১৩৭). সময়ের স্রোতে
১৩৮). এক জীবনে
১৩৯). সময় অসময়
১৪০). তিন চরিত্র
১৪১). প্রেম ভালবাসা
১৪২). বসন্ত দিনের খেলা
১৪৩(. সেতুবন্ধন
১৪৪). বিজনে নিজের সঙ্গে
১৪৫). হৃদয়ে প্রবাস
১৪৬). কোথায় আলো
১৪৭). এক অপরিচিতা
১৪৮). গড়বন্দীপুরের সে
১৪৯). স্বপ্নের নেশা
১৫০). ভালোবাসা
১৫১). নিজেকে দেখা

কাব্যগ্রন্থ

১). সুন্দরের মন খারাপ মাধুর্যের জ্বর
২). সেই মুহুর্তে নীরা
৩). স্মৃতির শহর
৪). সুন্দর রহস্যময়
৫). একা এবং কয়েকজন (কবিতার বই)
৬). আমার স্বপ্ন
৭). জাগরণ হেমবর্ণ
৮). আমি কিরকম ভাবে বেঁচে আছি
৯). ভালোবাসা খন্ডকাব্য
১০). মনে পড়ে সেই দিন (ছড়া)
১১). নীরা, হারিয়ে যেও না
১২). অন্য দেশের কবিতা
১৩). ভোরবেলার উপহার
১৪). বাতাসে কিসের ডাক, শোন
১৫). রাত্রির রঁদেভু
১৬). সাদা পৃষ্ঠা তোমার সঙ্গে
১৭).হঠাৎ নীরার জন্য

নাটক

১). প্রাণের প্রহরী
২). রাজা রাণী ও রাজসভায় মাধবী
৩). মালঞ্চমালা
৪). স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজী

অন্যান্য বই

১). বরণীয় মানুষ : স্মরণীয় বিচার
২). আন্দামানে হাতি
৩). Chokh o semuli (চোখ ও সেমুলী)
৪). আমার জীবনানন্দ আবিষ্কার ও অন্যান্য (প্রবন্ধ)
৫). ইতিহাসে স্বপ্নভঙ্গ (প্রবন্ধ)
৬). ছবির দেশে কবিতার দেশে (প্রবন্ধ)
৭). রাশিয়া ভ্রমণ
৮). তাকাতে হয় পিছন ফিরে (প্রবন্ধ)
৯). কবিতার জন্ম ও অন্যান্য
১০). সনাতন পাঠকের চিন্তা
১১). সম্পাদকের কলমে

তাঁর সৃষ্ট চরিত্র

১). কাকাবাবু
২). নীল মানুষ (রণজয়)

————————————————-
[তথ্যসূত্র- উইকিপিডিয়া]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress