দিগন্ত প্রসারিত ওই যে মাঠ
যেখানে ছুঁয়েছে আকাশ,
ওখানেই ছুটে চলে ভয়ঙ্কর স্রোতের সেই নদী।
সেখান থেকেই ছুটে আসছে ছায়াটা।
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে।
আশ্চর্য নীরবতা ওর শরীরে।
ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে আছে আমার চোখের দিকে।
আমার ছোটো ভাইটা বললো,
“দাদা জোগাড় করতে পেরেছিস আমার পরীক্ষার ফিস টা?”
ছায়ার কাছে নীরবতা চাইলাম।
নিঃশব্দে ভরা মুহূর্তগুলো তখন শুধু টিকটিক করে বাজছে ।
চাপা কান্না ভাইয়ের বুকে,
এবারও তাহলে পরীক্ষা দিতে পারবো না?
শুকনো ভাতগুলো নাড়তে নাড়তে বোনকে বললাম,
আর কিছু?
বোন বললো
“একটা কিছু হাতের কাজ শেখা দাদা।
নাহলে আর কতদিন চলবে অনাহারে?”
ছায়াটা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে ওঠে ।
তার সারা গায়ে মাখানো কাদা।
বিপুল বৃষ্টিতে ভিজেও ওঠেনা তার কোনো মলিনতা।
প্রবল জ্বরে কাঁপতে কাঁপতে মা এসে বলে,
“একটা কি ট্যাবলেট এনে দিতে পারিস খোকা, আর যে পারিনা।
মরণ কেন আসেনা রে?”
ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়।
আমি উন্মত্তের মতো ছুটি রেল লাইন ধরে।
একটা জনতা এক্সপ্রেস আমাকে যদি ছিন্নভিন্ন করে__
বেলা শেষ__
সূর্যকে গ্রাস করেছে অন্ধকারে
কবিতা তোমরা লিখো,
যারা আছো প্রাসাদে, খ্যাতির মিনারে।