শ্যাওলা জমেছে বহুদিন ধরে
একটু একটু করে,
এখন কবির গার্হস্থ্য জীবনের চরাচর জুড়ে সন্ধ্যা নেমেছে।
থেমে গ্যাছে মুক্ত বিহঙ্গের সব কোলাহল।
ডান দিকের যে খেজুর গাছটার পাতার ফাঁকে পূর্ণিমা রাতে চাঁদ এসে টুকি টুকি খেলে যেত,
সেই গাছটার হয়েছে বয়স
চলে গ্যাছে পরপারে।
তাই এখন পূর্ণিমা রাতে চাঁদ আসে নির্লজ্জ কুমারী চোখ নিয়ে,
চেয়ে থাকে ড্যাবড্যাবে চোখে।
তুমিতো এসেছিলে এক গণ্ডূষ শিশিরের জল নিয়ে আমার জীবনে স্বপ্ন আঁকতে,
সেও তো বহুকাল আগে।
তখন তোমার চোখে খেলে যেতো বড়ো বড়ো তমালেরা
একরাশ নৈঃশব্দ্য নিয়ে।
এখন সেইসব তমালের শরীর ফেঁটে রক্ত ঝরে।
তারই টুকরো টুকরো আভাস
তোমার চোখের এপাশে ওপাশে।
বহুকাল আগে তোমার চোখের থেকে
ছেড়ে চলে গেছে নোঙরের শেষ আশ্রয়স্থল।
এখন শুধুই হা-হুতাশেরা কিলবিল করে।
এখন কবির গার্হস্থ্য জীবনে সন্ধ্যা নেমেছে।
তাই কোনো বাঁশিওয়ালা আসেনা সংগীত বাজাতে।
মাঝে মাঝে রঙিন পাখিরা এসে উঁকি দিয়ে যায়,
কবির জীবনকে আ্যন্টিক ভেবে।
কি যন্ত্রণা! এ কি দায়!
এখন কবির নিপুণ হাতে শুধু বাজে একাকী কোনো সুর।
সেই সুরে থাকেনা কোনো আসল হৃদয়ের কথা।
কবি এখন একেবারেই অ-সুর।
সবার জীবনেই এভাবেই একাকিত্ত্ব আসে?
বয়সের ভারে নির্জনতায়?
কবির জীবনে এখন একাকী এক উট
একাকীত্ত্ব নিয়ে কাঁটাগাছ চিবিয়ে রক্তাক্ত করেছে নিজেকে।