গভীর রাতে যখন জ্যোৎস্না-স্নানে মগ্ন পৃথিবী
তখন রাত জাগা মাকড়সা নিজেকে আবিষ্কার করতো ,,,
দীঘির পাড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা
ফলবতী সুপারি গাছের মগডালে
তার বেঁচে থাকার আশ্রয় অবিরাম বুনে চলত ,
অপরদিকে রোজ সকালে দুরন্ত মৌমাছি
নীল অপরাজিতার ঘ্রাণে মশগুল হয়ে ডুব সাঁতার দিত
কতদিন নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারেনি সে
অদম্য মিলনের অভীপ্সা নিয়ে,
ঘরমুখো গোধূলিও প্রতীক্ষিত আসর বসাতে পারেনি
প্রতিপদ কিম্বা একাদশী শেষে চাঁদনী রাতের বুকে,
আদুরে যত্নহীন মাধবীলতার ঝোপ থেকে
অপূর্ণতার সকল আঁধার সরিয়ে
জীবন্ত হয়ে উঠা এক বৃহন্নলা পানকৌড়ি
অলীক তন্দ্রা ভেঙে খুঁজে চলত আপন জন্মসূত্র,
মৃত্তিকার সাথে সোনা রোদের পুনর্বার মিতালী হয়ে গেলেই নিভে যেত দুঃস্বপ্ন পূরণের সকল শোক,
নামহীন দীঘির পাড় ঘেঁষে বসা
গাংচিলের ডানায় লুকানো থেকে যেত
প্রকৃতির অপ্রকাশিত কিছু সাক্ষাৎকার আর অনাগত রূপকথা, দুর্বোধ্য কবিতারও লুকাত
পচনশীল তরুণাস্থির গহ্বরে।