আমি কোন মহাপুরুষ দেখিনি
দেখেছি তোমাকে,
দেখেছি প্রতিনিয়ত নিঃশব্দ পায়ে
বন্ধুর পথে চলার কৌশল
দেখেছি ঘর্মাক্ত শরীরে
সাবলীল তোমার পথ হাঁটা,
ক্লান্তি কখনো তোমাকে ছুঁতে পারেনি।
আমি দেখেছি তোমাকে
সঞ্চয়ের শেষ সম্বলটুকুও
দ্বিধাহীনভাবে বিলোতে সর্বহারার মাঝে
আরো দেখেছি তোমার নিঃস্বার্থ সেবা
নিজেকে খুব সহজ ভাবে মিলিয়ে দিতে
সর্বজনের মাঝে।
আমি দেখেছি
তোমার এক পৃথিবী ভালবাসা,
উন্মুক্ত আকাশে নক্ষত্রেরা যখন জ্বলে ওঠে,
হাওয়ায় যখন শিউলির গন্ধ ছড়ায়
কাশবনে ঢেউ খেলে শরতের শুভ্রতা
তখন তোমাকে খুব মনে পড়ে,
মনে পড়ে তোমার মায়াময় কণ্ঠস্বর
স্বগাথা ভজন গীতির স্বরলিপিতে
মন্দিরের প্রাঙ্গণে গানের পর গানে
নিজেকে হারিয়ে ফেলতে,
এক অপরূপ দ্যুতিময় ভাললাগার আলোকচ্ছটা
উদ্ভাসিত হত তোমার চোখে মুখে।
আমার উপলব্ধিতে আজ তুমি
অসীম নক্ষত্রের মাঝে
দ্যুতিময় তারা হয়ে নিভৃতে একাকী
দিগন্ত বিস্তৃত করে বসে আছ
হৃদয় আলোকিত করে
আমি প্রতিটি ক্ষণে, প্রতিটি মুহূর্তে
যেন অনুভবে স্পর্শ পাই তোমার ,
শুনতে পাই লীলায়িত কণ্ঠস্বর
তোমার গায়ের গন্ধ ভেসে আসে
হিমেল বাতাসে।
আর আমি যেন খুঁজে পাই
আমার জীবন চলার পথের একমুঠো
সঞ্জীবনী , এক বুক বাঁচার বাতাস।
আমি মহাপুরুষ কখনো দেখিনি
দেখেছি তোমাকে
দেখেছি আমার আদর্শ পুরুষকে।