এই বিশ্বে ষড়রিপুর খেলায় বুক ফুলিয়ে মেতেছে যারা
বিবেক বুদ্ধি নাশ করে অসৎ পথে অপকর্মে লিপ্ত
থেকেছে মোহের সাথে তারা,
কাঁটাতার ঘেরা রুদ্ধ সীমানা দু-পায়ে মাড়িয়ে
কায়াহীন সর্বনাশা হাসিতে জাতিসত্ত্বার
করে চলেছে নিরবধি রক্তক্ষরণ
নেই চোখা-চোখি, নেই ভাবের আদান-প্রদান–
জ্যামিতিক নকশায় হাতড়ে বেড়ানো
কিছু কাঙ্খিত স্বপ্নের ঠিকানায় জমা অভিমানের আখড়া
আর ধ্বংসস্তূপে খোঁজা প্রাচীন নিদর্শনের চিত্তাকর্ষী রূপ
অথবা পঙ্কিলতায় ডুবে থাকা মুখোশধারীদের
মুখে মাখিয়ে বিষাদের নীল,
ঈর্ষা ভরা মিথ্যার হাজার গরমিল—
অন্ততঃ শেষবার, মানুষের মতো করে বুক পেতে দেখো,
নগ্ন ব্যাকুলতার নৃত্যে বন্ধক রাখা
চেতনাকে জাগাও আরেকটিবার,
হামাগুড়ি দিয়ে এসে দাঁড়াও শাশ্বত মোহনায়,
নিজের বিবেকের কাছে করো আত্মসমর্পণ
নয় পারো তো পারো আজ আশ্বস্ত করো —
সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় উঠে প্রতারণার আহত নাভিমূলের বোবা কান্নাগুলোকে
বরফের কন্দরে বন্দী করে রেখো,
সন্তুষ্টির সুরঙ্গ ধরে আবারও একবার সাম্যবাদ বলে নিষ্কলুষ রাস্তায় পা ফেলো নিপাট মানুষ বেশে।