জীবনটা এত ক্ষণস্থায়ী কেন,
কেউ কি বলতে পারো ?
জানি, একদিন আমি মরে যাব।
কিন্তু, যদি এর উল্টোটা হত ?
যদি জানতাম আমার কোন মৃত্যু নেই,
তাহলে, তখনও পৃথিবীটা কি এতোখানি সুন্দর লাগত ?
কিন্তু, বেঁচে থাকা মানেও তো সুখ নয়,
সুখ তো সবার ভাগ্যে জোটে না।
পদে পদে ফাঁদ পাতা থাকে নানা রূপে নানাভাবে,
সৃষ্টি-ধ্বংস, আনন্দ-বেদনার বহমান আবর্তে।
তাহলে মৃত্যুহীন বেঁচে থাকায় আনন্দ কোথায় ?
এটাই বেশ ভালো, যতদিন বেঁচে থাকব,
ততদিন সুখের আশায় বাঁচব,
আর অপেক্ষা করব শীতল মৃত্যুর।
প্রতিমুহূর্তে জীবনটা আশা-নিরাশার প্রতিবন্ধকতায় দোলে,
সময়ের কাছে বারবার অসহায় হয়ে পড়ে।
কখনও কখনও এই জীবনই রঙিন স্বপ্নের জাল বোনে,
ভালোবাসার মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে ধরে।
সেই জীবনে এক অনাবিল আনন্দ বিরাজ করে,
তেমনই, কখনো কখনো ব্যর্থ প্রেমের বিষাদে দম বন্ধ হয়ে আসে।
মনে হয় হঠাৎ থেমে যাবে একদিন সময়ের ঘড়ি।
ভাবলেও অবাক লাগে, কেমন হবে সেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ ?
মাঝে মাঝে খুব দেখতে ইচ্ছা করে,
কেমন করে আসে আশ্চর্য অথচ সুন্দর সেই মৃত্যু ?
জানতে ইচ্ছা করে খুব, মৃত্যু কোথায় লুকিয়ে থাকে ?
কোন অজানা পৃথিবীতে ?
একটু একটু করে ফুরায় চলার পথ, ফুরিয়ে যেতে থাকে প্রাণের উচ্ছ্বসিত স্পন্দন,
একটু একটু করে ঝরে পড়ে স্বপ্নের কলি গুলো,
নিরন্তর বয়ে চলা ক্লান্ত পথিকের মত,
এক সময় হয়ে যাবো ক্ষান্ত।
শুনতে পাবো মৃত্যুর হাতছানি,
শুধু থাকবো না আমি।
থাকবেনা সজীবতা, থাকবেনা প্রাণটা।
এক জীর্ণ, হতাশাময়, দুর্গন্ধযুক্ত শরীর থেকে
হয়ে যাব মুক্ত বিহঙ্গের মত।
প্রাণ খুলে বাঁচব নতুন আলোর স্পর্শে।
যে আলোয় থাকবে চির শান্তি,
চির সুখের অতলে একটু একটু করে
হারিয়ে যাবো একদিন।