তুমুল বৃষ্টি ঝাপসা চারধার তবুও নীলিমায় নীল তুমি ও তোমার ছায়া
বহুদিন বাদে দেখা সেই চোখ একই কাজলে আঁকা
পিছন ছাপিয়ে হাটুকে ছাড়িয়ে সেই একরাশ কালো চুল
ছায়া ও মুড়েছে নিজেকে পিছনে কৃষ্ণগহ্বরে একি আমার ভুল!!
আজ স্বাধীনতা
চারধার জুড়ে উড়ছে পতাকা
কালীঘাটে মায়ের মন্দিরে দরিদ্র নর নারায়ণ সেবা
সদ্য খাওয়ার শেষে এক কিশোরীর বমি ধরে রাখে আর এক কিশোরী
বলে এতো বমি নয় এইতো শেষ হোল খাওয়া
এতেই ভরে যাবে পেট সন্ধ্যা রাতের বেলা
বৃষ্টিতে ভেসে যায় চারধার
তুমি ও তোমার ছায়ার হাসিতে কাপছে মেদিনী হয়ে যাবে ছারখার
সেই মুখ যা দেখে ছেড়ে যেত বন্দরের জাহাজ কয়েক মাসের জন্য
তোমার ছায়ার ও সেই মুখ যা দেখে উড়ন্ত বিমান ডিগবাজি খায়
আনন্দে সে একেবারে ধন্য
সাতচল্লিশে পাওয়া সেই স্বাধীনতা আজ ভারত এখন স্বাধীন
চারদিক জুড়ে খুশীতে মাখানো তেরঙ্গা পতাকা উড্ডীন
লাল দুর্গে বিউগেল বাজে গরম ভাষনে মুখরিত চারধার
বহুদিন ধরে ঝড় বৃষ্টিতে নিজের দাবি তে বসে থাকা কৃষকের দল
রোজ মরছে দু_ চার টা মরুক না মরুক আকছার
আজ ভারত স্বাধীন
শুধু আমি নয়
ফুলের মধু খাওয়া গুণ গুণ গান গাওয়া ভ্রমরের ও জন্মদিন
একটু বাতাস চেয়ে জেলে বসে পচে মরেছিল এক অশতিপর প্রবীণ
গঙ্গায় লাশ ভেসে যায়
মন্দিরে মসজিদে গির্জায়
উপাসনায় সবাই গম্ভীর সবাই উদাসীন
তুমি ও তোমার ছায়া র বৃষ্টিতে ভেজো অনর্গল
তোমার ছিপছিপে শরীরের মত তোমার ছায়া ও অবিকল
এলাচ মাখানো সেই মিষ্টি গন্ধ তোমার শরীরে
তোমার ছায়া ও কি সেই গন্ধ ধরে ?
ভিজো না তুমি আর ভিজলে সবাই দেখে নেবে
তোমার শরীরের গোপন কারুকাজ
সব ধুয়ে যাবে তোমার ছায়ার নিখুঁত অপরূপ সাজ
আজ স্বাধীনতা
মাঠে মাঠে ফুটবল খেলা
এই বৃষ্টিতে ফুটপাতে সদ্য যুবতী মায়ের সন্তান বাঁচাতে রাস্তার জমা জল চোখের গভীরে
শিশু হাসে হাত ছোড়ে পা ছোড়ে
গর্ভবতী তুমি ও তো আমাকে ছেড়েছিলে এই বৃষ্টিতে
পায়ের তলায় ছুটে যায় ট্রেন
মাথার উপর বাড়ির উপরে তেরঙা পতাকা
আজ ভারত স্বাধীন
এই কি সেই আমার বীজ প্রোথিত হয়ে নিষিক্ত তোমার গর্ভে
ভিজছে অবিচল বৃষ্টিতে আমার পাপ ধুয়ে দিতে
ময়দানের মেট্রো স্টেশনে
আজ আমার জন্মদিন
ভারত পৃর্ণ স্বাধীন
একবার ফিরে আসো আত্মজাকে নিয়ে
জন্মদিনের উপহার আত্মজাকে দিয়ে
ভাসাও আমায়
একবার শুধু একবার
সমুদ্র স্নানে গিয়ে ।
আজ পনেরই অগাস্ট
আমরা সবাই কি স্বাধীন ?