হিংসুটে দৈত্যের কানমুলে করাই ওঠ-বস।
পাজী হাড়-বজ্জাত শয়তানীর হামবড়া রূপটি
রক্তকণিকায় হাত পা ছড়িয়ে
তুলোধানা করে হামেশাই।
যা চাই নি কখনো কোনভাবে
প্রতিবন্ধের পা দুটি ধরে মসৃণপথে
খণ্ড খণ্ড ভাঙা কাঁচ ছড়ায় সে-ই
দরাজ আমেজে,
সোনার কাঠি আর রূপোর কাঠি নাগালেই চকচক্
তবুও দৃশ্যমান অস্পষ্ট, তবুও শব্দ
মাঝে মাঝে শুনি যেন মোহিনী আড়ালে।
সাঙ্কেতিক ভাষা পরপর আসে ওয়ারলেসে বা
দূর বহুদূরের স্যাটেলাইট থেকে,
কিন্তু নামগন্ধ পাই না টের উদ্ধারের
সামান্য উদ্যমে।
দ্যৈত্যের প্রাণভোমরা প্রচ্ছন্ন যে কৌটোয়
তার হদিশ তন্নতন্ন করেও নিপাট বেপাত্তা,
সে রাজাদরে ডাইনিং টেবিলে
লুচি-পরোটা-কালিয়া-কোপ্তা-কাবাবে
উদরপূর্তি সেরে ফাঁপায় পেট দিনদিন।
অথচ দৈত্যের নাম ও ধামে হুলিয়া
জারি বহুকাল বহুদিন,
তার মাথার দাম কয়েক কোটি টাকা অথবা
ক লক্ষ মোহর! সব কিছু জেনেশুনে
বেপরোয়া সময় কিছুতেই জল্লাদ হওয়ার
সুবর্ণ সুযোগটি দেয় নি আমাদের এ অব্দি।