মনে পড়ে সেই ছোটবেলায় অবোধ ছিলাম যখন,
অনেক না’ এর গণ্ডী পেরোতে ভয় পেতাম ভীষণ ,
স্কুলবেলা আর মেয়েবেলায় অনেক কাজ করা ছিল বারণ;
বিধিনিষেধের বেড়ীতে বন্দী ছিল তখনও দুটি চরণ।
দেখেছি পুরুষ – নারী উভয়ের জীবনের ধারাপাতে-
বন্দী সবাই চলতি পথে অনেক নীতি নিয়মের নিগড়েতে,
কষ্ট হলেও মেনেছে কিছুজন স্বপ্ন সাজিয়ে ভবিষ্যতে;
মানেনি যারা তারাই ভুগেছে বিপদসংকুল ঝঞ্ঝাবাতে।
বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করেও কতো অসহায় আজ নির্যাতিতা,
দূর্বিনীতের আচমকা হানায় কতো নারী,কুমারী হয়েছে ধর্ষিতা,
ধর্ষকের জ্ঞানে পৌঁছোয় না সামাজিক বিধিনিষেধের বার্তা;
শিয়রে শমন জেনেও তারা লালসায় অগ্রাহ্য করে তা।
উন্নতবিশ্বে চরম পর্যায়ে আজ দৃশ্যমান আধুনিকতা,
আক্ষরিক অর্থে এসেছে বটে নারী-পুরুষের পূর্ণ সমতা,
তবু কোথায় যেন সূক্ষ্ম ভেদ কাড়ছে দিকে দিকে নারীর শ্লীলতা;
বুঝিবা বিনাশকালে বিধিনিষেধের সবাই করে অন্যথা।
বিগত আড়াই বছরে বিশ্বে ঘটেছে মহামারীর প্রাদুর্ভাব,
মৃত্যু কেড়েছে কতো প্রাণ এসেছে শুদ্ধতার অভাব,
প্রাণের বিনিময়ে বুঝেছে মানুষ বিধিনিষেধের বৈভব;
পাল্টে গেছে মানবের আদি অনন্তকালের উদার স্বভাব।
মহামারী এড়াতে বিবিধ সরকারী বিধিনিষেধের হয়েছে আরোপ,
দেখেছে যে জগৎ মৃত্যুমিছিলের ভয়াবহ রূপ,
অস্থির জনগণ যদি কখনও এমন স্থিতিকে করেছে বিদ্রুপ,
তারাই হয়েছে ছবি পুড়েছে নিভৃতে শত বেদনার ধূপ।
যদিও বিধি করেন না এখন আর নিষেধাজ্ঞা জারি,
চলতি জীবনের পরতে পরতে জড়িয়েছে আজ মহামারী,
ঠেকে শিখেছে যারা তারাই বারণ শুনেছে তাড়াতাড়ি;
অমৃতে কখন মিশেছে গরল চলছে এখনও খোঁজ তারই।
বর্তমান পরিদৃশ্যে জীবনের অনুপুঙ্খে দিতে হবেই মান্যতা,
বিধিনিষেধেই সুপ্ত মুমূর্ষু জীবনের একমাত্র সজীবতা,
একটাই জীবন -এই আখরে সবারই আছে বাঁচার ব্যস্ততা;
প্রাণের সৌকর্যে প্রতিটি জীবনে আসুক নিয়মানুবর্তিতা।।