সত্যজিৎ এক অনন্য প্রতিভা
সত্যজিৎ রায়….বিশ্ববরেন্য চিত্রপরিচালক,লেখক,শিল্পী….আরও কত কি! তাঁর গুণপনা র বাখান করতে বসলে কলম থামবে না । আমি এক অনুরাগিনী র দৃষ্টি তে তাঁর জন্ম শত বর্ষের উৎযাপনের চেষ্টা করছি! উপেন্দ্র কিশোর ও সুকুমার এর পরবর্তী প্রজন্ম তিনি ! এঁদের যে উত্তরাধিকার তিনি বহন করছিলেন তার সুফল পাচ্ছি আমরা ও আমা দের সংস্কৃতি জগৎ॥ তাঁর লেখনী র অমোঘ রচন কিশোর মননে যে মাতন তোলে তার রেশ সারা জীবন থাকে। ”ফেলুদা”চরিত্র ভালোবাসে না এমন বাঙালী কিশোর কিশোরী বিরল।”প্রফেসর শঙ্কু” তো সর্বকালের প্রিয় চরিত্র। আর চলচিত্র? স্কুল জীবনে র প্রথম স্মরনীয় চলচিত্র যা আমার স্মৃতি তে উজ্বল তা হল__গুপী গাইন বাঘা বাইন । সেই শুরু হল তাঁর সিনেমা কে ভালোবাসার ॥ আস্তে আস্তে যখন ”পথের পাঁচালী” দেখলাম….আমার মননে স্হায়ি ছাপ ফেললো অপুদূর্গার যুগলবন্দী॥বিভূতিভূষনে র উপন্যাসের সার্থক চিত্ররূপ দেখলাম ।এর পর আপরাজিত…অপুরসংসার…. যেন সব ভাবনা কে ভাসিয়ে ভালোলাগায় ভরিয়ে দিলো। জীবন চক্র গড়িয়ে চললো তার নিজের নিয়মে!মন ন ও সমৃদ্ধ হল তাঁর বিভিন্ন সিনেমার মাধ্যমে…..গণ শত্রু,শাখাপ্রশাখা, অরন্যের দিনরাত্রি…..আবার অরন্যে…..কত না জীবন কাব্য।”শতরঞ্জ কেখিলাড়ী ‘ ‘ তো এক চলচিত্রকবিতা।ভারতীয় দের মধ্যে সবচেয়ে বেশী পূরস্কার কে পেয়েছেন __এই কুইজের একমাত্র উত্তর…”সত্যজিৎ রায়”।
বাংলা সাহিত্যের ”দাদা” দের মধ্যে ”ফেলুদা”র স্হান .চিরদিন ই উজ্বল থাকবে। বাঙালী কিশোর মন গোয়েন্দা ফেলুদার প্রেমে বিভোর থাকবে আবহমান কাল । আজ তাঁর জন্ম শতবর্ষে আপামর অনু রাগী দের তরফ থেকে তাঁকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রনাম ॥ আগমনী র কাশফুলের দোলা আমাদের মনে করাবে ”অপু দুর্গা র কথা!কালবৈশাখীর ঝড়ে আম কুড়ানো র সময় মনে পড়বে পথেরপাঁচালীর চিত্ররূপ। কিংবা_হরি দিন তো গেল সন্ধ্যাহল পার করো আমারে__ শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে বাঁশ বাগানে দুর্গার পিসির মৃত্যু দৃশ্য॥ অনুভবী বাঙালী মননে শিল্প সংস্কৃতি র ক্ষেত্রে সব সময় অনুরনিত হবে তাঁর স্মৃতি……..!ভুলি কেমনে ?