জন্ম নিলাম যেই ভিটেতে
সেই ভিটে আজ পর ,
সমাজ বলে – যতই বলো
মেয়েদের আপন – ‘ শ্বশুরঘর’।
বাবার কাছে বায়না করা
মায়ের কাছে পড়া ,
সুযোগ পেলেই পড়া ছেড়ে
হটাৎ লুকিয়ে পরা ।
ছাদে উঠে আচার চুরি
পরে সাধু সাজা
কতো ভালো ছিলো ছোট্টবেলা
কতোই ছিলো মজা ।
মা বলতেন – ওরে আমার
দস্যি মেয়ে শোন
এবার একটু শান্ত হ
বড় হবি কখন ?
বলতেম আমি – মাগো
চাইনা হতে বড় –
বুকের মাঝে আমায় নিয়ে
ঘুমিয়ে তুমি পড়ো ।
আজ এতো বছর শ্বশুরবাড়ি
সে ঘুম আর কোথায় !
ছোট্টবেলার ঘুমটি গেছে
স্বপ্নপুরী যেথায় ।
শ্বশুর বাড়ি – বাপের বাড়ি
মাঝখানে এক রেখা ,
এপার বসে ওপার দেখি
যায় না কেনো দেখা ?
যেখানেতে ছিলো আমার
পুতুল খেলার ঘর ,
সে পুতুল আজ অনেক দূরে
হয়ে গেছে পর ।
আমার সেই ছেলেবেলার
স্বপ্নের সেই মহল –
বাপের বাড়ি নাম সে ধরে
হয়েছে বদল ।
মুঠো ভরে অন্ন দিয়ে
মায়ের আঁচলে,
সব ঋণ শোধ হলো
বলে গেলাম চলে ,
হায় মূঢ়, এক মুঠো অন্নে কি আর
ঋণ শোধ হয় ?
সমাজের এ রীতি – নীতি
মানতেই যে হয় !
জন্মভূমি, মাতৃভূমি
স্বজন পরিজন ,
সবকিছুকে পিছন ফেলে
পরকে করি আপন ।
মেয়ে হওয়া যে বড় জ্বালা
কে আপন, কে পর
সত্যটা বুঝতে গেলে
লাগবে জীবনভর ।