কলমটা হোক অস্ত্র কবি কলমটা হোক দুর্নিবার
কলমটা হোক হাত হাতিয়ার অন্যায্যতা চূর্ণী বার।
কলম ধরো শক্ত করে, প্রতিবাদে উড়ান দাও
বিপ্লব হোক স্বতঃস্ফূর্ত, কবি কলম চালিয়ে যাও।
যাও যেখানে মুখোশধারীর মুখের কথাই উপদেশ
যাও যেখানে দুর্নীতিতে প্রাণের দেশটা হচ্ছে শেষ।
সেইখানে যাও, যেখানটাতে শিক্ষা ভয়ে মুখ লুকোয়
অন্ধকারে জড়িয়ে জীবন শিশু যেথা শ্রম বিকোয় ।
বিকোয় নারী ইচ্ছেমতো, আব্রু যেথা পেট চালায়,
শিক্ষা এলেও ফোসকা গেরোয়ে অনিচ্ছাতেও ভয় পালায়।
স্টেশন ধারে নদীর পাড়ে ওই যে কোনে বস্তিটা
অপরাধের আখড়া ওটা জমছে নেশা মস্তিটা।
ওইখানে যাও ফুটিয়ে তোলো ওদের অভাব অভিযোগ
বিজ্ঞাপনে মুখোশ ছিঁড়ো বিলাসীদের পাপের ভোগ।
নির্যাতিতার সাহস যোগাও ধর্ষকদের ন্যায় বিচার
কলম তুমি যোগ্য জবাব তুমিই এবার হও টিচার।
কলম তুমি ছুঁতেই পারো বৃদ্ধা মায়ের চুপকথা
দুঃখ কষ্ট অভিমানের আলপনাতে মন ব্যথা।
অনাথ শিশুর অস্ফুট বোল কান্নাকাটির গোপন ছোঁও
আড়ম্বরের ঐতিহ্যে সরল কথায় জটিল ধোও ।
ধুতেই পারো যন্ত্রণাটা বেকার যখন কষ্ট পায়
কলম তুমি বুঝিয়ে দিও এটা কিন্তু দেশের দায়।
অশিক্ষাতেও ভিক্ষা মেলে দান গ্রহণে লজ্জা হয়
তাইতো চাকরি ছিনিয়ে নেওয়ায় ন্যায় সততার সত্য জয়।
জয়ী তোমায় হতেই হবে কলম তুমি ঈশ্বর আজ
কবির হাতে অলংকৃত তাইতো কলম সোনার তাজ।
কলমটাকেই যত্ন করো প্রয়োজনে শানিয়ে নাও
লজ্জা ঘৃণা দূর করে দাও আলোর স্রোতে ভাসিয়ে দাও।
দিও তোমার শব্দ মালা, শালীনতার বাধ্যতা
অশ্লীলতার কাঠিন্যতায় নিও না কেড়ে সাধ্য তা ।
নিও না কেড়ে ছন্দ তাল ও লয়ের সঠিক সমন্বয়
আধুনিক নামে নীল কবিতায় সংস্কৃতির কোরো না ক্ষয়।
দৃপ্ত কণ্ঠে একবার গাও সাম্যের গান বুক ভরে
সহ্য শক্তি বাড়িয়ে তোলো সহিষ্ণুতার নাম ধরে।
প্রেমের কথা লিখতে পারো মনের কথা দিল খুলে
সমাজ কথায় দেশ এগোবে পালটা এবার দাও তুলে।
তুলে ধরো ছাত্র শ্রমিক মজুর চাষীর যুদ্ধটা
বয়স্কদের সম্মান দাও হাসুক লাফিং বুদ্ধটা।
হাসুক শিশু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা হাসুক গরীব মানুষজন
কলমটা হোক ভালোবাসার অনির্বাণ-এর প্রিয় মন।
কলমটা হোক গর্ব তোমার কলমটা হোক পরিচয়
শরীরটা নয়, কষ্ট করো, মিলবে আশিস বরাভয়।
মিলবে খ্যাতি যশ সম্মান মুগ্ধ আবেশ আনন্দ
জবাব দিও কলম দিয়েই চিনিয়ে দিও মন্দ।
কলম যখন ভবিষ্যতের গান লেখা এক রূপকথা
মানায় না তো কলম তোমায় কক্ষনো কোনো নীরবতা।
কলম আনুক নতুন ভোরের নতুন দিনের সূর্যোদয়
শিক্ষিত হোক সর্ব সমাজ কলমটা হোক তূর্যময় ।