স্নিগ্ধ শোভন মুখমন্ডলকে আবিষ্ট করে আছে ক্লান্তির মেঘেরা
শরীরের কোষ থেকে ঝরে পড়ছে বেদনার শোনিত
শোষনের টিলার শীর্ষে শুধুই যন্ত্রণার আনাগোনা
সুন্দর করে কাটা বাড়ন্ত চুলগুলো সিডরের ঝড়ে এলোমেলো।
নর্দমার নোংরা স্রোতে ভেসে যায় ছেলেবেলার খেলার পুতুল।
হাড় হিম করা রক্তাক্ত শৈশব বাসনার আগুনে জ্বলে পুড়ে খাক,
প্রাণহীন শৈশব সমাজের ব্যর্থ আইনের গালে সপাটে থাপ্পর বসায়,
সে বলে, আমি ভালোবাসা চেয়েছিলাম,
তুমি মৃত্যু দিলে
আমি খুশি থাকতে চেয়েছিলাম, তুমি কষ্ট দিলে,
আমি আলো চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে অন্ধকারে ছুঁড়ে ফেললে।
তবুও পৃথিবীতে ফুল ফোটে, মৌমাছি মধু পান করে
পরাগসংযোগে নবপ্রাণ উন্মোচিত হয় সৃষ্টির ছন্দে।
সমস্ত প্রতিবাদ, আন্দোলন শেষে পড়ে থাকে শুধু গলিত মোম
আর তার সাথে শৈশবের বিগলিত হাসি, মোহময় বুলি
পথচারী জিভ কেটে বলে,’ঘুমাও সোনা, ঘুমাও, আহা রে!