যদিও আজ কৃষ্ণা দ্বাদশী।
তবুও সে মলিন কিছু জ্যোৎস্না নিয়ে বাঙুরের জলে স্নানে নেমেছে তরঙ্গ ছোঁয়ার আশায়।
বেহুলা চলেছে তাঁর অন্তহীন যাত্রার উদ্দেশ্যে।
নিথর আঁধার বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে নদীর দুই কূল।
আকন্দ,ঘেঁটু ফুল আর ভাঁট ফুলের প্রাচুর্য সেথা।
শেওলা ধরা সান বাঁধনো ঘাটে কে দাঁড়িয়ে কার তরে?
ঐ বুঝি চলে যায় লক্ষ তারার ঘুঙুর বাঁধা কোন এক অজানা আকাশ গঙ্গা।
তবু জমে থাকে রাত সময়ের পদধ্বনির আলোকে।
ফিরে পেতে চায় সেই জীবিত আখ্যানের লক্ষিন্দরকে।
আজ এই হারিয়ে খুঁজির ডুবে যাওয়া সময়ের ফাঁকে ছড়িয়ে দিলাম স্বীয় অস্তিত্ব।
সাক্ষী থাক গাছ গাছালির চিরন্তন সবুজের মেলা।
হয়তো নাম না জানা ফুল বলে যাবে নদীর কথকথা।
হয়তো রাত জাগা তিতির আজ ও আছে নবারুণের ঘর ছাড়ার শব্দের অপেক্ষায়।
ভুলে যাওয়া ঠিকানা পরে আছে নদীর জোয়ার ভাঁটার টানে।
পলির রন্ধ্রে রন্ধ্রে শিকল ,বিকল করেছে সকল প্রয়াস।
তবে কি ভোরের খোঁজ পেলে বেহুলা সেই নেতা ধোপানীর ঘাটে….