Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।

শৈশব

আন্নু আর বাপ্পা দুই ভাই বোন।
দে পরিবারে এই দুই বিচ্ছুকে দেখলে সবাই একটু দূরত্বে চলাফেরা করত।
এতটা দুষ্টু যার একমাত্র কারণ…..।
থাক না বলায় ভালো।
মা বকেছে হয়তো! মায়ের চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়া হয়।
চিরকাল বৌমা ও শাশুড়ির প্রায় এরকম সম্পর্ক থাকে। সোজাসুজি কিছু বলা হচ্ছে না।আসলে সবার পরিবারতো এক নয়।তাই ভাষা উহ্য রেখে বলা ভালো।
বাবা অফিস মা রান্নাঘরে। দুই ভাই বোন পড়া শেষ করে একটু খেলছে,এমন সময় তাদের মনে হয় গতকাল ঠাম্মির আঁচার হনুমান খেয়ে গেছে,দুজনে চোখে চোখে ইশারা করে বাগান থেকে কচু তুলে সারা ছাদে রেখে আসে।
ব্যাস যথারীতি হনুমান এসে সেগুলো খায়,তারপর হনুর কি দাপাদাপি রে বাবা!!
ঠাম্মি নাতিকে চুপিচুপি ডাকে, লজেন্স দিয়ে আসল কারণ জেনে নেন।তারপর নাতি ও ঠাম্মি থালা বাজিয়ে বাজিয়ে হনুমান তাড়ায়। দিদি তখন দাদুর পাকা চুল তুলতে তুলতে দাদু র কাছে অ়ঙ্ক শিখছে।
এবার আন্নু ও বাপ্পা দেখে দাদু ও ঠাম্মি মা ও বাবার দলে।ওনাদের চারজনের মধ্যে কি যে পরামর্শ হয়েছে!! কথায় কথায় বলে এবার ছেলে ও মেয়েকে হস্টেলে দে!
দাদুকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে হনুমানরা বাবা ও মাকে অভিযোগ করেছে , ওরা কষ্ট দিয়েছে।যতই হোক ওরা পশু তো!
তারপর থেকে ওরা ভাবে সত্যি হনুমান বলেছে হয়তো। আসলে ওটা ছিল ওদের ঠান্ডা করার মলম। মনুষত্ব জাগরণের জন্য।পশু হোক বা মানুষ হোক কাউকে কষ্ট দিতে নেই।এটা ক্রাইম বলে।
পড়াশোনায় ওদের কোন সমস্যা ছিল না।বরাবর প্রথম। কিন্তু বাড়িতে দুই ভাই বোন একত্রে থাকলে ঠিক কিছু দুষ্টুমি করবেই।ঠাম্মি ও দাদু ওদের দুষ্টুমি মজা করে তারিফ করতেন আর নিজেদের শৈশব ভাবতেন।
আর বলতেন দাদু দুষ্টুমি অবশ্যই করবে যেটা অন্য মানুষ হজম করতে পারবে।বাপ্পা বলত হজমতো দাদু খাবার খেলে হয়। ঠাম্মী বলত এ হজম মানে হচ্ছে লোকে সহ্য করতে পারে!আর মাত্রা ছাড়ালেই ভবিষ্যত অন্ধকার।
তারপর আন্নু যত শান্ত হতে চেষ্টা করে দুই বছরের ছোট ভাই বাপ্পা ততটাই দুষ্টু হয়ে যায়। একবার পাশের বাড়ির কাকু ও কাকিমা মিষ্টি করে দিদির নামে বাজে কথা বললে,সে সহ্য করতে না পেরে বাগানের একটা সাপকে মেরে আধমরা করে নিস্তেজ সাপটা তাদের বাড়িতে ছুঁড়ে দেয়।তারপর দুই পরিবারের অশান্তি তুঙ্গে ওঠে।
এরপর ওদের বাবা ভাইকে হস্টেলে দিয়ে দেন।সেই ভাই আজ মস্ত নামকরা ডাক্তার।ডক্টর মলয়নীল দে,এই হার্ট স্পেশালিস্ট ডক্টর,বহু মানুষের জীবন ওনার হাতে।যখন দাদু বলেন কি নাতি সাপ ধরবে নাকি!এখনতো রীতিমত তিনি লজ্জা পান !!
আন্নুর দুষ্টুমি করতে করতে দাদুর কাছে অ়ঙ্ক শেখা ঠাম্মির কাছে ঠাকুমা ঝুলির গল্প শোনা, এমনকি বড়ি দেওয়া শেখা, আমসত্ত্ব করা শেখা,যা বড়ো হয়ে সাংসারিক জীবনে অনেক কাজে লাগছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress