সেই ঝুল বারান্দা, সেই হেলান দেওয়া চেয়ার সব আছে!
কিন্তু সেই মানুষটির আজ বড্ড অভাব!
সেই মানুষটি যে কিনা আমার বড় কাছের ছিল।
সেই মনের মানুষ নাবালিকা হাসি দিয়ে বলত বয়স হচ্ছে ডাকের অপেক্ষায় থাকি।
সময় করে সকাল সন্ধ্যা চায়ের
কাপ ,কোলেস্টেরল ,প্রেসার, থাইরয়েড বড়ি হাতে ধরাত!
ওষুধ শেষ হবার আগেই বাড়িতে হুলুস্থুল বাঁধাত!
সবাই বলছে সে নাকি আর নেই!
আমি বলি সে আছে ,প্রতি মূহুর্তে তার অস্তিত্ব কেমন যেন অদ্ভুত ভাবে অনুভূত হয় !
অভ্যাসবসত অফিস যাবার সময় অজান্তেই চোখ যায় ঝুল বারান্দায়!
হাত নেড়ে বলছে দুগ্গা দুগ্গা!
এই অনুভব এই অনুভূতি কাউকে ভাগ করা যায় কি!
অফিস থেকে এসেই দেখি আরাম কেদারা গায়েব!
ওরা বলছে যে স্মৃতি বেদনাদায়ক তা রেখে কাজ নেই।
তোমাদের জঞ্জাল ,আমার কাছে আছে নানান টুকরো ভালো লাগার স্পর্শ!
চিৎকার চেঁচামেচি করাতে আবার কেদারা দুলছে!
আড়াল থেকে শোনা যায় বৌমা বলছে বাবার মাথাটা গেছে!
জঞ্জাল থেকে আবার কেদারা বসিয়েছেন!
তার স্মৃতি নিয়ে বেশ কয়েক বছর কেটে যায়!
বাড়িটা নাকি পুরাতন, ভেঙে ফ্ল্যাট হবে,
তাহলে আমার প্রেয়সীর অলিন্দ থেকে হাত নাড়া–
সব কি স্মৃতির পাতায় হারিয়ে ফেলব!