বৃষ্টিতে ভিজছে সজনে পুঁইলতা আম্রপালি
কচুর পাতার বৃষ্টি ভেজা বারণ!
অকৃপণ জলধারা বর্ষণ করে চলেছে আকাশ
তবু একবিন্দু ও প্রবেশ করে না তার গভীর শিরায়!
প্রকৃতির নিয়ম মেনে বর্ষা আসে
মাটির শুকনো শরীর ঢেকে যায় সবুজ গালিচায়।
পুকুরের ধারে ঘেঁষে বাড়তে থাকে জংলি কচুর বংশ –
ভিজতে মানা… বংশ বিস্তারে মানা নেই!
তৈলাক্ত প্রলেপনের নিচে জমতে থাকে ঘাম
অবরূদ্ধ রন্ধ্রের চারিদিকে ঘুরতে থাকে গুমোট বাতাস..
অতলান্তে জমতে থাকে শর্করা।
অস্তিত্বের গিঁট বাঁধতে থাকে শিকড়ে শিকড়ে
নৈঃশব্দ্যের অন্ধকারে আলগোছে ছুঁয়ে মিলিয়ে যায় তরঙ্গ..দূরে..অনেক দূরে…
বৃষ্টির সাজে সেজে উঠেছে হাসনুহানা কেতকী কামিনী
বৃষ্টির আবেশে ভিজে তারা রচে সবুজ ভাস্কর্য-
উদ্যানে বাগিচায় নির্মাণ করে পরিপূর্ণ জলসাঘর।
সে ভেজার অন্তরালে থেকে ভিজিয়ে চলে আজীবনের রসদ..
সে ক্লান্তির অলিন্দ পারে বুনে চলে অক্লান্ত কারুশিল্প..
সে বৃষ্টির আলিঙ্গনে ঘুমিয়ে থেকে জাগিয়ে রাখে অনন্ত অমলিন শর্করা..।